গাজায় ২০ ট্রাক ত্রাণসহায়তা ঢুকতে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে মিসর। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তার আগে তিনি মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল–সিসির সঙ্গে কথা বলেছেন বাইডেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, “জো বাইডেন বলেছেন, ‘রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজায় ২০ ট্রাক ত্রাণসহায়তা পাঠানোর ব্যাপারে রাজি হয়েছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসি। তবে হামাস যদি এসব ত্রাণ নেয়, তাহলে গাজায় ত্রাণসহায়তা পাঠানোর পথ বন্ধ হয়ে যাবে’।”
এর আগে গাজায় ত্রাণসহায়তা যেতে দিতে রাজি হয় ইসরায়েল। বাইডেন ইসরায়েল সফরে গিয়ে দেশটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ তথ্য জানান। এরপর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তরও রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজায় ত্রাণ যেতে বাধা দেওয়া হবে না বলে জানায়।
বিবিসির প্রতিবেদনে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থাগুলোর বরাতে বলা হয়, গাজায় এখন যে ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে, তাতে করে এ ২০ ট্রাক ত্রাণসহায়তা দিয়ে ন্যূনতম চাহিদাও পূরণ করা সম্ভব নয়। কারণ, গাজার ১০ লাখ উদ্বাস্তুর জন্য এখন প্রতিদিন অন্তত ১০০ ট্রাক ত্রাণসহায়তার প্রয়োজন।
গাজায় বসবাস করেন প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি। ক্ষুধা, দারিদ্র আর যুদ্ধাক্রান্ত এই উপত্যকার এক তৃতীয়াংশ বাসিন্দা জাতিসংঘ ও বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার সহায়তার ওপর সরাসরি নির্ভরশীল।
ইসরায়েল ব্যতীত গাজার সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে কেবল মিশরের। রাফাহ ক্রসিং নামের সেই সীমান্ত পথ দিয়েই গাজা ভূখণ্ডে ত্রাণ ও সহায়তা সামগ্রী পাঠানো হয়।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। সেই হামলার জবাবে গাজা ভূখণ্ডে বোমা বর্ষণ শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। সেই হামলা এখন অব্যাহত রয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় ৩,৪৭৮ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। হতাহতদের ৭০% নারী, শিশু এবং বৃদ্ধ।