যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের শীর্ষস্থানীয় এক নারী কুস্তিগির তার দুটি জাতীয় পদক ফেলে দিয়েছেন। ভিনেশ ফোগাত নামের ওই কুস্তিগির শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দিল্লিতে একটি সড়কের পাশে পদকগুলো ফেলে আসেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ভারতে কুস্তিগিরদের আন্দোলনের শুরু হয়। ফোগাত’সহ ও আরও কয়েক কুস্তিগির অভিযোগ করেন, রেসলিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার (ডব্লিউএফআই) প্রধান ব্রিজ ভূষণ সিং বেশ কয়েক বছর ধরে নারী কুস্তিগিরদের যৌন হয়রানি করেছেন। তবে সেসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রভাবশালী আইনপ্রণেতা ও রাজনীতিবিদ ব্রিজ ভূষণ সিং। যৌন হয়রানি ও দণ্ডনীয় ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগগুলো নিয়ে এ বিষয়ে আদালতে শুনানি চলছে।
সম্প্রতি ফোগাত তার “খেল রত্ন” ও “অর্জুন পুরস্কার” ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন। দুটি পুরস্কারই তিনি ভারত সরকারের কাছ থেকে পেয়েছিলেন।
ফোগাত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে পুরস্কারগুলো ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, তবে পুলিশের বাধার কারণে তা সম্ভব হয়নি। এরপর শনিবার ফোগাত দিল্লিতে সড়কের পাশে পদকগুলো ফেলে আসেন।
এ বিষয়ে ফোগাত বলেন, “কুস্তিগিরেরা যখন ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করছেন, তখন এ ধরনের সম্মাননা ধরে রাখাটা অর্থহীন।”
দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফোগাত অভিযোগ করেন, কমপক্ষে ১০ নারী কুস্তিগির তাকে বলেছেন যে তারা ব্রিজ ভূষণের যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।
ফোগাতের ভাষ্য, ২০২১ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে ব্রিজ ভূষণের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন।
এ বছরের মে মাসে আন্দোলনকারী কুস্তিগিরেরা অভিযোগ করেন, দিল্লিতে বিক্ষোভ করার সময় পুলিশের নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তারা।
এ মাসের শুরুর দিকে ব্রিজ ভূষণের এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে ভারতের রেসলিং ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে। এতে আন্দোলনকারী কুস্তিগিরেরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে গত সপ্তাহে সংসদ ভবনের রাস্তায় পদ্মশ্রী পদক ফেলে আসেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে দু’বারের পদকজয়ী পুরুষ কুস্তিগির বজরং পুনিয়া।