ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) তাদের নবম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে যুক্ত করেছে ‘‘ডেটিং অ্যান্ড রিলেশনশিপ’’ নামের এক অধ্যায়। ‘‘ঘোস্টিং’’, ‘‘ক্যাটফিশিং’’ এবং ‘‘সাইবারবুলিং’’ এর মতো জনপ্রিয় ইন্টারনেট জেনজি ডেটিং শব্দগুলোরও এ অধ্যায়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) বইয়ের কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। বিষয়টিকে প্রগতিশীল পদক্ষেপ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকেই। তবে ডানপন্থী ও রক্ষণশীলরা বরাবরের মতোই সমালোচনা করছেন এই সংযুক্তির। অনেকেই পুরো অধ্যায়টি পড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ শেয়ার করেছেন নিজেদের স্কুলের দিনের প্রেম করার অভিজ্ঞতা।
ভারতীয় শিক্ষাবিদরা বলছেন, বয়:সন্ধিকালে কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক ও মানসিক নানা পরিবর্তন আসে। এ বয়সের প্রেমের সম্পর্ক বাকি জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এজন্য এ ধরনের অধ্যায় খুবই জরুরি। শিক্ষার্থীদের এই বয়সে প্রেম ও ডেটিং নিয়ে সুশিক্ষা দরকার। তাদের দাবি, সঠিক জ্ঞান ও নির্ভুল ধারণার অভাবে শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে হতাশা, আত্মহত্যা এবং মাদক গ্রহণের মতো কর্মকাণ্ডে নিজেদের জড়িয়ে ফেলে।
এছাড়া বাবা-মায়ের সাথে এসব নিয়ে আলোচনা করতেও তারা অভ্যস্ত না বা পরিবেশ নেই বেশিরভাগ পরিবারে। তাই শিক্ষাবিদরা মনে করেন, স্কুল জীবনেই যদি সম্পর্কের এই সব জটিলতার ব্যাপারে ধারণা দেওয়া যায় তাহলে তা তাদের বাজে সম্পর্কের অভিজ্ঞতা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে।