সম্প্রতি ভারতে নবম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ‘‘ডেটিং অ্যান্ড রিলেশনশিপ’’ নামের অধ্যায় যোগ হয়েছে- এমন খবর প্রকাশ করেছিল দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো। তবে ওই খবরটি সত্য নয় বলে জানিয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)। তারা বলছে, বোর্ডকে জাড়িয়ে যে তথ্য প্রচার হয়েছে তা ‘‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা’’।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) বইটি নিয়ে যে ব্যপক সমালোচনা হচ্ছিল, সিবিএসই'র দাবি বইটি তাদের কোনো প্রকাশিত বই না। এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। তবে ওই ভুল খবরটিই গত ১ ফেব্রুয়ারি সত্য ধরে প্রকাশ করেছিল এনডিটিভিসহ ভারতের শীর্ষ গণমাধ্যমগুলো।
এনডিটিভি নতুন প্রকাশিত খবরে সিবিএসই-এর বরাত দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে। সিবিএসই বলছে, ‘‘গণমাধ্যমের একটি অংশের প্রতিবেদনে বইটি সিবিএসই থেকে প্রকাশিত বলে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেখানে ডেটিং অ্যান্ড রিলেশনশিপের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে বইটির অংশ ভাইরাল হয়েছে তা ‘‘এ গাইড টু সেলফ অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট’’ শিরোনামের। এটি লিখেছেন গগন দ্বীপ কওর, যা জি রাম বুকস প্রাইভেট লিমিটেড এডুকেশনাল পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত। সিবিএসই এ ধরনের কোনো বই প্রকাশ করেনি, এমনকি কোনো ব্যক্তিগত প্রকাশনাকে এমন বই প্রকাশের জন্যও বলেনি।’’
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি বলেছিল, যেকোনো বয়সেই প্রেম বিষয়টি বুঝেশুনে নিরূপণ করা কঠিন। আর তা যদি হয় কৈশরে, তবে আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, এই বয়সী কিশোর-কিশোরীরা সব কিছু প্রেম-রিলেশন-ডেটিংয়ের বিষয়গুলো খুলে বলতে দ্বিধায় ভোগে। কখনও কখনও তারা অতি উৎসাহীও হয়ে পড়ে। এসব বিষয় তুলে ধরে দেশটির সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) নবম শ্রেণির বইয়ে যুক্ত করেছে ‘‘ডেটিং অ্যান্ড রিলেশনশিপ’’ নামের এক অধ্যায়। সেই অধ্যায়ে ‘‘গোস্টিং’’, ‘‘ক্যাটফিশিং’’ ও ‘‘সাইবারবুলিং’’-এর মতো শব্দগুলোরও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে তথ্য তুলে ধরে ইন্ডিয়া টুডেও একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এনডিটিভি ও ইন্ডিয়া টুডে জানায়, বইয়ে ‘‘ডেটিং অ্যান্ড রিলেশন’’ যুক্ত করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
এক্সে ভাইরাল দুটি পোস্ট যুক্ত করে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, নেটিজেনদের নানা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। অনেকে নিজেদের কৈশরের স্মৃতি ও অভিজ্ঞতার কথা কমেন্টে তুলে ধরেছেন। অনেকেই বিষয়টিকে ইতিবাচক নিয়েছে। তাদের মতে, শিশুদের শুরু থেকেই সব ধরনের নেতিবাচক বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেওয়া উচিত। এর ফলে পুরো বিষয় সম্পর্কে একটি সঠিক ধারণা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলতে পারে।
ওই পোস্টে অনেকে বইটির এই অধ্যায় নিয়ে সমালোচনাও করছে বলে জানায় এনডিটিভি। বলা হয়, অনেকে এটি সত্য কি না, তা কমেন্টে জানতে চেয়েছে।