জেলেনস্কিকে হত্যার চেষ্টা করা হয়নি বলে জানিয়েছে রাশিয়া। মস্কোর বক্তব্য, রাশিয়া চাইলে জেলেনস্কির গাড়ির ওপরেই হামলা চালাতে পারতো।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ বিধ্বস্ত বন্দরনগরী ওদেসায় পরিদর্শনে যান ভলোদিমির জেলেনস্কি ও গ্রিক প্রধানমন্ত্রী মিৎসোতাকিস। সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনের সময় তাদের গাড়ির কনভয়ের মাত্র ৫০০ মিটার দূরে রাশিয়ার মিসাইল হামলার ঘটনা ঘটে।
ইউক্রেন দাবি করে, জেলেনস্কিকে হত্যা করতেই এই হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া।
তবে রাশিয়া তা অস্বীকার করেছে। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, রাশিয়া চাইলে জেলেনস্কির গাড়ির ওপরেই হামলা চালাতো, গাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে নয়। জেলেনস্কিকে হত্যার জন্য ওই আক্রমণ চালানো হয়নি। ইউক্রেন অবশ্য রাশিয়ার এই বক্তব্য মানতে নারাজ।
এদিকে মলডোভার প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সে গিয়ে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। জানিয়েছেন, শুধু ইউক্রেন নয়, প্রতিটি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেই একইরকম ব্যবহার করছে পুটিনের রাশিয়া। যে কোনো সময় তাদের ওপরেও আক্রমণ নেমে আসতে পারে।
ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো নিয়ে জার্মানিতে ভোট
সম্প্রতি জার্মান পাবলিক ব্রডকাস্টার এআরডি এক জনমত সমীক্ষায় প্রশ্ন করে, জার্মানির তৈরি দূরপাল্লার মিসাইল টরাস ইউক্রেনকে দেওয়া উচিত কি না?
এতে দেখা যায়, ৬১% জার্মান মনে করেন ওই অস্ত্র ইউক্রেনকে দেওয়া উচিত নয়।
তাদের মতে, অস্ত্র দেওয়ার কারণে রাশিয়া যদি জার্মানিতে হামলা করে তা প্রতিহত করার যথেষ্ট ক্ষমতা জার্মানির নেই। আর ৭৪% নাগরিক মনে করেন জার্মানির প্রতিরক্ষা খরচ বাড়ানো উচিত। ওই খাতে বাজেট অনেকটাই বৃদ্ধি করা উচিত। আর মাত্র ৯% নাগরিকের মতে, এই খরচ মানুষের উপর কর চাপিয়ে করা উচিত। যদিও বেশিরভাগ ভোটদাতার মতে, অন্য খাতে খরচ কমিয়ে অস্ত্রে ব্যয় বৃদ্ধি করা যেতে পারে। তবে কর বাড়িয়ে অস্ত্রে বাজেট বৃদ্ধির বিপক্ষে তারা।
মাত্র ২৯% ভোটদাতার ইউক্রেনকে টরাস মিসাইল দেওয়ার পক্ষে। এদের বেশিরভাগ অবশ্য গ্রিন এবং এফডিপি দলের সমর্থক। এই দুই দলের মত এটি।
যদিও দীর্ঘদিন ধরেই টরাস মিসাইল দেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি জার্মান চ্যান্সেলর।