গাজা উপত্যকার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে অন্তত ২৪টি অকার্যকর বলে জানিয়ছে ইউএন অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ)।
ওসিএইচএ-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘‘চলমান যুদ্ধ এবং সরবরাহ সীমাবদ্ধতার কারণে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। যার ফলে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক হাসপাতাল যা পরিষেবার বাইরে চলে গেছে।’’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, ২৭ মার্চ পর্যন্ত গাজার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে ২৪টি অকার্যকর।
বর্তমানে উত্তর গাজায় দুইটি, গাজায় চারটি এবং দক্ষিণ গাজায় ছয়টিসহ মোট ১০টি আংশিকভাবে কার্যকর রয়েছে।
গাজার হাসপাতালগুলোর পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম সমন্বয়ক সংস্থা ইউএনওসিএইচএ বলেছে, উপত্যকাটির যেসব হাসপাতাল এখনো চালু আছে, সেগুলোও পূর্ণ মাত্রায় চিকিৎসাসেবা দিতে পারছে না। দক্ষিণের হাসপাতালগুলোর অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। ফিলিস্তিনি এ ভূখণ্ডের ৩৬টি হাসপাতালের দুই-তৃতীয়াংশই ইসরায়েলের হামলায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে। কোনোরকমে সেবা দিতে পারছে মাত্র ১২টি হাসপাতাল।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির দাবি সত্ত্বেও ইসরায়েলি বাহিনী গাজা ঘেরাও করেছে। বেশ কয়েকটি হাসপাতালে হামলা চালাচ্ছে।
মার্কিন এবং মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির বিষয়ে কাতারে আলোচনা চালিয়ে গেলেও তা কোনো আলোর মুখ দেখেনি।
এজন্য ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী একে অপরকে দোষারোপ করেছে।
এর আগে, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১,১৩৯ জন ইসরায়েলি নিহত হন। ওই সময় বন্দি করা অনেকেই এখনও হামাসের হেফাজতে রয়েছে।
ওই হামলার পর থেকে থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩২ হাজারের ফিলিস্তিনি নিহত ও ৭৪ হাজারের বেশি আহত হয়েছে। হতাহতদের বেশির ভাগই শিশু ও নারী।
২৩ লাখ ফিলিস্তিনিদের আবাসস্থল গাজা উপত্যকায় সম্পূর্ণ অবরোধ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। পাশাপাশি লেবানন ও সিরিয়ার কিছু অংশে বিমান হামলা করছে।