বিমান নির্মাতা বোয়িংয়ে অনিয়ম নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)। বোয়িংয়ের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর এই তদন্ত শুরুর কথা সোমবার জানায় দেশটির এয়ার সেফটি কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি বোয়িংয়ের একজন কর্মী ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমান তৈরির প্রক্রিয়ায় “অনিয়ম” দেখার পর বিষয়টি তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানান। এরপর ৭৮৭ প্রকল্পের প্রধান স্কট স্টকার ২৯ এপ্রিল কর্মীদের দেওয়া এক ইমেইলে জানান, অনিয়মের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিমান তৈরির সময় যে পরীক্ষাগুলো করা প্রয়োজন তার মধ্যে কয়েকটি বাদ দিয়েই “সব পরীক্ষা করা হয়েছে” বলে কয়েকজন কর্মী রেকর্ডবুকে লিখে রাখেন। এই বিষয়টি এফএএকে জানানো হয়েছে বলেও জানান স্টকার।
এরপরই এফএএ জানায়, তারা বোয়িংয়ে এমন অনিয়ম নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। ১৭ এপ্রিল মার্কিন সিনেটে শুনানির সময় বোয়িংয়ের একজন হুইসেলব্লোয়ার অভিযোগ করেছিলেন, ৭৮৭ বিমান তৈরির প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তার বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ করায় তাকে প্রতিশোধপরায়ণতার শিকার হতে হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে এফএএর পরামর্শক প্যানেল বোয়িংয়ের নিরাপত্তা সংস্কৃতিতে চরম ঘাটতি খুঁজে পেয়েছিল। তারা বলেছে, বোয়িংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিষদ ও কর্মীদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক খুব ভালো নয়। আর কোনো কর্মী নিরাপত্তা নিয়ে অভিযোগ করলে যে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেনি এফএএর প্যানেল।
গত জানুয়ারিতে আলাস্কা এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স-৯ বিমান ১৬ হাজার ফুট ওপরে থাকার অবস্থায় তার এক্সিট দরজার সিল খুলে গিয়েছিল। আর গত মাসে ডেল্টা এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং বিমান নিউইয়র্ক থেকে ওড়ার কিছুক্ষণ পর তার জরুরি বহির্গমন (ইমারজেন্সি এক্সিট) স্লাইড খুলে যায়।