হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ অন্যদের মরদেহ তাবরিজ শহরে নেওয়া হচ্ছে। এরপর মৃত্যুর কারণ জানতে তাদের মরদেহের ময়নাতদন্ত পরীক্ষা করা হবে।
ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহগুলো রাজধানী তেহরানে নিয়ে যাওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সেখানেই সরকারি কর্মকর্তা ও নেতারা মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা ও মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাবেন।
মঙ্গলবার (২১ মে) শিয়া মুসলমানদের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় কেন্দ্র মাশহাদ শহরে তাদের দাফন করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সামা টিভি।
এর আগে, হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ অন্যান্য আরোহীরা মারা গেছেন বলে সোমবার সকালে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।
সোমবার সকালে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকায় ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় অনুসন্ধানী দল।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানানো হয়, সেখানে প্রাণের কোনো চিহ্ন নেই। পুরো হেলিকপ্টারটি ভস্মীভূত হয়ে গেছে।
রবিবার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান ইব্রাহিম রাইসি। তার সঙ্গে সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারে করে তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি। জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। তবে অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়।
এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আলি খামেনি জানিয়েছেন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মোখবারকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পাঁচ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেন তিনি।
আলি খামেনির বরাত দিয়ে ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম ইরনা আরও জানায়, মোখবার দেশের নিয়ন্ত্রণভার গ্রহণ করবেন এবং ৫০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবেন।
অন্যদিকে ইরানের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আলি বাঘেরি কানি।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানের মৃত্যুর পরে মন্ত্রণালয়েরর দায়িত্ব পুনর্বন্টন করে দেশটির মন্ত্রিসভা।
নির্বাহী, সংসদ ও বিচার, সরকারের তিন বিভাগের এক বৈঠকের পর ঘোষণাটি আসে।