হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও সাতজন মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে এখনও সন্দেহজনক কোনো তথ্য খুঁজে পায়নি ইরানের সামরিক বাহিনীর তদন্তকারীরা।
এতে বলা হয়, হেলিকপ্টার ধ্বংসাবশেষে বুলেটের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানটি উচ্চ কিছুর ওপর আছড়ে পড়ে। সেখানেই আগুন লেগে যায়।
এতে বলা হয়, বিধ্বস্ত হওয়ার আগে রাইসির হেলিকপ্টারটি আগের পরিকল্পিত রুটে উড়ছিল। এটি নির্ধারিত ফ্লাইট পথ ছেড়ে যায়নি।
এমনকি ওয়াচ টাওয়ার এবং ফ্লাইট ক্রুদের মধ্যে যোগাযোগের সময় কোনো সন্দেহজনক বিষয়বস্তু পরিলক্ষিত হয়নি।
বৃহস্পতিবার রাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত সশস্ত্র বাহিনীর সাধারণ কর্মীদের একটি বিবৃতি অনুসারে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারটির সঙ্গে উড়তে থাকা অপর দুই হেলিকপ্টারের সঙ্গে সমান্তরালে উড়ে যাচ্ছিল।
রবিবার আছড়ে পড়ার পরে সোমবার ভোরে ইরানের ড্রোন ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এটি খুঁজে পায়। কিন্তু কুয়াশা এবং নিম্ন তাপমাত্রায় উদ্ধারকারী দলের কাজ বাধাগ্রস্ত হয়।
সেনাবাহিনী বলেছে, তদন্ত পরিচালনার জন্য আরও সময়ের প্রয়োজন।
পুরনো হেলিকপ্টার
বিধ্বস্ত হওয়া বেল হেলিকপ্টারটি রবিবার আজারবাইজানের সাথে ইরানের সীমান্তে ভ্রমণে গিয়েছিল। এরপর রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে ফিরে আসছিল।
প্রেসিডেন্ট এর আগে আজারবাইজানীয় রাষ্ট্রপতি ইলহাম আলিয়েভের সাথে একটি বাঁধ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
১৯৭৯ সালের বিপ্লবের সঙ্গে সঙ্গে ইরানের ওপর বিদেশি নিষেধাজ্ঞা ও পরবর্তীতে তার পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর আরোপিত ও তথাকথিত প্রতিরোধের অক্ষের সমর্থনের কারণে দেশটির জন্য বিমানের যন্ত্রাংশ বা নতুন বিমান পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার রাইসিকে তার নিজ শহর মাশহাদে দাফন করা হয়। রাজধানীসহ ইরানের কয়েকটি প্রধান শহরে শোককারীদের উপস্থিতিতে শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।
এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান ছিলেন, যাকে বৃহস্পতিবার রাজধানীর দক্ষিণে শাহ-ই-রে শহরে দাফন করা হয়েছে।
২৮ জুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে।