এ বছরের গত পাঁচ মাসে অন্তত ১০ হাজারের বেশি আশ্রয়প্রার্থী ছোট নৌকায় করে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। আগামী ৪ জুলাই দেশটির জাতীয় নির্বাচনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের জন্য এটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২৩ সালে বিপজ্জনক চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ইংল্যান্ডের দক্ষিণ সমুদ্র সৈকতে পৌঁছানো লোকের সংখ্যা এক তৃতীয়াংশ কমেছে।
তবে একটি সরকারি ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ২৫ মে তারিখের মধ্যে ১০ হাজার ১৭০ জন আশ্রয়প্রার্থী যুক্তরাজ্যে এসেছেন। গত বছর একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল ৭,৩৯৫ জন।
বুধবার ব্রিটেনের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী সুনাক। তিনি গত সপ্তাহের শেষের দিকে বলেছিলেন, অবৈধভাবে ব্রিটেনে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের ভোটের আগে রুয়ান্ডায় নির্বাসিত করা হবে না। কনজারভেটিভ পার্টির গুরুত্বপূর্ণ নীতিগুলোর একটিতে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
ব্রিটেনের জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এসব আশ্রয়প্রার্থীরা। এই ইস্যু নিয়ে বিপাকে রয়েছেন ঋষি সুনাক।
দেশটির অভিবাসন মন্ত্রী স্টিফেন কিনক বলেছেন, ‘‘সুনাকের সরকার সমস্যাটি মোকাবিলায় যথেষ্ট কাজ করেনি। কারণ সরকার এখন কয়েকশ লোককে রুয়ান্ডায় নিয়ে যাওয়ার দিকে মনোনিবেশ করেছে। তারা প্রতি মাসে চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসা হাজার হাজার লোকের ভরসা হারিয়েছে।’’
লেবার পার্টি বলেছে, তারা নির্বাচিত হলে বর্ডার সিকিউরিটি কমান্ড তৈরি করবে। এতে পুলিশ, দেশীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং প্রসিকিউটরদের সমন্বয় থাকবে। এর উদ্দেশ মানব পাচার বন্ধে আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করা।