ভারতের জম্মু-কাশ্মিরে গত ৩৫ বছরের মধ্যে রেকর্ডসংখ্যক ভোটার ভোট দিয়েছেন। ২০১৯ সালে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হিমালয় সংলগ্ন রাজ্যটির আংশিক স্বায়ত্তশাসন বাতিলের পর এবারই সেখানে প্রথমবারের মতো জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে।
গত ২৫ মের ভোটে জম্মু ও কাশ্মিরে ৫৮.৫% ভোট পড়েছে। যা ৩৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
শ্রীনগর সংসদীয় কেন্দ্রে ভোটের হার ২০১৯ সালের ১৪.৪% থেকে এবার বেড়ে ৩৮.৫% হয়েছে, অনন্তনাগ-রাজৌরি আসনে ৯% থেকে ৫৪.৯% এবং বারামুল্লা আসনের ৩৪.৬% থেকে ভোট বেড়ে হয়েছে ৫৯.১%।
যদিও জম্মু অঞ্চলে ২০২৪ সালে ভোটের হার ২০১৯ সালের তুলনায় কম ছিল, জম্মুতে যেখানে ০.৩% ও উধমপুরে ১.৯% ভোট কমেছে।
কাশ্মির উপত্যকার ক্ষেত্রে, তিনটি সংসদীয় নির্বাচনি এলাকা- শ্রীনগর, বারামুল্লা এবং অনন্তনাগ-রাজৌরি তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫০.৯% ভোট রেকর্ড করেছে।
মঙ্গলবার ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য বলছে, তিনটি উপত্যকার আসনের ২০১৯ সালের সম্মিলিত ভোটদানের পরিসংখ্যান ছিল ১৯.২%, যা ২০২৪ সালের থেকে ৩০% কম।
তবে অনন্তনাগের ভৌগলিক সীমা ২০২০-২১ সালে সীমানা নির্ধারণের সময় কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে। এতে জম্মু বিভাগের রাজৌরি জেলার কিছু অংশ যুক্ত হয়েছে।
ইসি মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মিরে রেকর্ড ভোটদানকে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ বলে দাবি করেছে।
তারা বলছে, কাশ্মির উপত্যকার তিনটি আসন থেকে ৫০.৮৬% ভোট পাওয়ার মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণের বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটেছে।
ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে ৩৫ বছরের বিদ্রোহে জম্মু-কাশ্মিরে হাজার দশেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আগের নির্বাচনগুলো বয়কট ও জঙ্গি হামলার হুমকিতে প্রভাবিত হতো।
১৯৯৬ সালের পর প্রথমবারের মতো মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) কাশ্মিরে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। দলটি বলছে, তারা আঞ্চলিক দলগুলোকে সমর্থন জানাবে। যার ফলে, ভোটের লড়াই ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) ও পিপল’স ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) মধ্যে সীমাবদ্ধ। উভয় দলই তাদের প্রচারণায় এ অঞ্চলের স্বায়ত্তশাসন ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছে।