বিশ্বজুড়ে গত ১২ মাসে অতিরিক্ত আরও ২৬ দিন তাপপ্রবাহ প্রবাহিত হয়েছে। গবেষকদের ধারণা, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই অতিরিক্ত তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। যৌথভাবে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করে রেড ক্রস, রেড ক্রিসেন্ট ক্লাইমেট সেন্টার, ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন সায়েন্টিফিক নেটওয়ার্ক ও অলাভজনক গবেষণা সংস্থা ক্লাইমেট সেন্ট্রাল।
প্রতিবেদনে বিশ্বজুড়ে চরম আবহাওয়ার আচরণ, তাপ জলবায়ু-সম্পর্কিত মৃত্যুর প্রধান কারণসহ নানা তথ্য তুলে ধরা হয়। গবেষণার জন্য বিজ্ঞানীরা ১৯৯১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে প্রতিটি দেশের কেমন তাপমাত্রা ছিল তা আমলে নেন। এটির ভিত্তিতে তারা তাপমাত্রার আচরণ পরিবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন।
সবশেষ ১২ মাসের গণনায় দেখা যায়, আগের চেয়েও অতিরিক্ত অন্তত ২৬ দিন বেশি তাপমাত্রা সহ্য করেছে বিশ্ববাসী। তাদের মতে, মানবসৃষ্ট নানান প্রভাবকের কারণে জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বজুড়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু মনিটর কোপার্নিকাসের মতে, ২০২৩ সাল ছিল রেকর্ডে সবচেয়ে উষ্ণ বছর। এ বছরের চরম তাপপ্রবাহ মেক্সিকো থেকে পাকিস্তান পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১২ মাসে প্রায় ৬.৩ বিলিয়ন মানুষ, বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় ৮০% - চরম তাপ হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ হয় এমন অন্তত ৩১ দিন পার করেছে।
অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া প্রতিটি মহাদেশের ৯০টি ভিন্ন দেশে মোট ৭৬টি চরম তাপপ্রবাহ নিবন্ধিত হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচটি দেশ ছিল ল্যাটিন আমেরিকায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব না থাকলে, সুরিনাম ১৮২ এর পরিবর্তে আনুমানিক ২৪টি; ইকুয়েডর ১০ এর বদলে ১৮০; গায়ানা ৩৩ দিনের জায়গায় ১৭৪, এল সালভাদর ১৫ নয় ১৬৩; ও পানামা ১২ দিনের বদলে ১৪৯ চরম উত্তপ্ত দিন পার করত।