মেয়েকে বিয়ে দিবেন থাইল্যান্ডের অন্যতম ধনকুবের আরনন রদথং। আর তাই মেয়ের জন্য যোগ্য পাত্র খুঁজে পেতে নিলেন এক অভিনব ব্যবস্থা। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান, তার মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হলেই পাত্রকে দিবেন লাখো ডলার।
আরনন রদথংয়ের বাড়ি থাইল্যান্ডের চুমফন প্রদেশে। খুঁজছেন মেয়ে কার্নসিতার জন্য পাত্র। ঘোষণা দিয়েছেন, মেয়েকে বিবাহ করতে রাজি হওয়া ছেলেকে দিবেন ১০ মিলিয়ন থাই বাথ (যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় আড়াই কোটি টাকার সমান)। মেয়ের নিরাপদ ভবিষ্যতের কথা ভেবেই মেয়ের জামাইকে তিনি এই টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে পাত্রের যোগ্যতা সম্পর্কে তেমন কিছু চাননি তিনি। শুধু বলেছেন, যে ছেলে মেয়েকে বিয়ে করতে চাইবে, তাকে অবশ্যই হতে হবে পরিশ্রমী। আর তার মেয়েকে রাখতে হবে সুখে-শান্তিতে।
আরনন রদথং মূল্যবান দুরিয়ান ফলের একটি খামারের মালিক। দক্ষিণাঞ্চলীয় থাইল্যান্ডের চুমফন প্রদেশে তার এই ফলের বাগান। মেয়ে কার্নসিতা বাবাকে ব্যবসায় সহায়তা করেন। সেই সাথে কৃষি খামারের কাজেও বাবাকে সাহায্য করেন তিনি।
আরনন রথদং তার মেয়ের ভবিষ্যৎ জামাইকে লিখে দেবেন তার এই বিশাল ফলের বাগানের মালিকানাও। তার ফলের বাগানটি থাইল্যান্ডের ওই অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বড়। আর এই ফলের বাগানের বাজারমূল্য কয়েক মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড।
রথদং বলেন, "আমি চাই কঠোর পরিশ্রমী কেউ আমার ব্যবসার হাল ধরুক। ব্যবসায়কে আরও সামনের দিকে নিয়ে যাক। যে ছেলে আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চাইবে, আমি মনে করি না তাকে স্নাতক ডিগ্রি, মাস্টার্স ডিগ্রি করা ব্যক্তি হতে হবে। আমি জামাই হিসেবে একজন কঠোর পরিশ্রমী ছেলে চাই। এটাই চাওয়া আর কিছুই না"।
আরনন রদথংয়ের ছেলেসহ আরও সন্তান আছে। কিন্তু তিনি তার মতে তার সব সম্পদ কার্নসিতার ভবিষ্যৎ স্বামীকেই তিনি দেবেন। রদথং বলেন, "যত শিগগিরই মেয়ের জামাই পাব তত তাড়াতাড়ি তার হাতে আমার সম্পদ তুলে দিতে চাই"।
থাইল্যান্ডের বেশ কিছু এলাকায় ঐতিহ্যই আছে, বিয়েতে পাত্র পক্ষ কনে পক্ষকে সাধ্যমতো যৌতুক দিয়ে থাকে। রদথং'এর ইচ্ছা তিনি এই প্রথা ভেঙে দিবেন।
২৬ বছরের কার্নসিতা ইংরেজি ও চীনা ভাষা দুটো ভাষাতেই সমান দক্ষ। কোনদিন কোন প্রেমিকও ছিল না।
কেমন মানুষকে স্বামী হিসেবে তিনি চান—এর উত্তরে কার্নসিতা বলছেন, "আমার বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজতে বাবা প্রকাশ্যে যে ঘোষণা দিয়েছেন, সে ব্যাপারে আমি কিছুই জানতাম না। আমার বন্ধুদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে আমি জানতে পারি। বাবার ঘোষণা আমাকে বিস্মিত করেছে। তবে কাউকে যদি বিয়ে করতেই হয়, তবে আমি সেই ছেলেকেই বিয়ে করতে চাইব যিনি হবেন খুবই পরিশ্রমী, ভালো মানুষ এবং সর্বোপরি যিনি নিজের পরিবারকে ভালোবাসবেন"।
তবে বাবার ঘোষণায় কিছুটা শঙ্কিত কার্নসিতার মতে, এখন অনেকেই হয়তো তার বাবার অর্থ আত্মসাৎ করতে রাজি হয়ে যাবে বিয়ের জন্য।