নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের 'লাইভ স্ট্রিমিং' অপশনটি নিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনায় বসতে চেয়েছেন।
শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের ২টি মসজিদের হামলার ভিডিও ফেসবুকে সরাসরি প্রচারিত হওয়াতে এ ব্যাপারে তিনি তৎপর হয়েছেন বলে রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন তিনি। খবর নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের।
তিনি বলেন, "ভয়াবহ ওই সন্ত্রাসী হামলার পর ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলো সরাতে কিংবা সরানোর জন্য বলতে আমরা যতটুকু সম্ভব তা করেছি। তবে যেসব প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ভিডিওগুলো ছড়িয়েছে শেষ পর্যন্ত তাদেরই দায় এগুলো সরানোর। আমি মনে করি তাদেরকে আরও কিছু প্রশ্নের জবাব দিতে হবে"।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরডার্ন আরো বলেন, "ফেসবুক সিইও'র সাথে আমি যোগাযোগ করেছি। তার সঙ্গে আমার সরাসরি কথা না হলেও আলোচনার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি, নিউজিল্যান্ডে যা ঘটেছে সে ব্যাপারে তিনি অবগত আছেন"।
এদিকে, এ বিষয়ে ফেসবুক থেকে এক টুইট বার্তায় বলা হয়, "ঘটনার পর প্রথম ২৪ ঘন্টায় আমরা হামলার ১৫ লাখ ভিডিও সরিয়ে নিয়েছি। এছাড়া ১২ লাখ ভিডিও আপলোড হওয়ার সময়ই ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে"।
এমনকি, হামলায় হতাহতদের প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ গ্রাফিক কনটেন্ট না দেখিয়ে ভিডিওটির যেসব সম্পাদিত সংস্করণ প্রকাশ করা হয়েছিল সেগুলোও মুছে ফেলা হয়েছে বলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দু'টি মসজিদে হামলা চালায় ব্রেনটন ট্যারান্ট নামের এক অস্ট্রেলীয় নাগরিক। হামলার পুরো ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিম করা হয়। এই হামলায় ৫ বাংলাদেশিসহ ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।