জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে ৬.৯ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যার ফলে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) মিয়াজাকি শহরে এবং নিকটবর্তী কোচি প্রিফেকচারের জন্য সুনামি সতর্কতা জারি করেছে। খবর দ্যা ইকোনমিক টাইমসের।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত ৯টা ১৯ মিনিটে ভূমিকম্পটি ঘটে এবং কিউশুর দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপে অবস্থিত মিয়াজাকি উপকূলে এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল।
ভূমিকম্পের পর জাপানের আবহাওয়া সংস্থা সুনামি ঢেউয়ের জন্য সতর্কতা জারি করে বলে যে সুনামির মাত্রা এক মিটার (তিন ফুট) পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। সুনামি বারবার আঘাত হানতে পারে বলেও জোর দিয়ে জেএমএ জনগণকে উপকূলীয় এলাকা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়াও সমুদ্রে প্রবেশ না করার জন্য এবং উপকূলীয় অঞ্চলের কাছাকাছি না যাওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া বিবৃতি অনুসারে, ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
জাপানের রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মিয়াজাকি শহরে ইতোমধ্যে ২০ সেন্টিমিটার উচ্চতার ঢেউয়ের রেকর্ড করা হয়েছে। প্রাদেশিক এই রাজধানী শহরে প্রায় ৪ লাখ মানুষের বসবাস রয়েছে।
এই ভূমিকম্পটি নানকাই ট্রফের সঙ্গে যুক্ত কিনা তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে জেএমএ। গত আগস্টে নানকাই ট্রফ নামে পরিচিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল বরাবর অঞ্চলে প্রবল মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। এই ভূমিকম্পের পর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঝুঁকির বিষয়ে প্রথমবারের মতো সতর্কতা জারি করেছিল জাপানের এই সংস্থাটি।
তবে জাপানের ভূমিকম্পের ঘটনা সাধারণ বিষয়। বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্প সক্রিয় এলাকা হলো জাপান। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই জাপানে সংগঠিত হয়।
এর আগে ২০১১ সালের মার্চ মাসে দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল সেটিই। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বড় ধরনের সুনামি আঘাত করেছিল।