ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্বসংক্রান্ত বিষয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারকে।
সোমবার (২৪ মার্চ) এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব ঘিরে ২০১৯ সাল থেকে বিতর্ক চলে আসছে। ওই বছর রাহুলের নাগরিকত্ব বাতিলের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। পরে এই বিতর্ক শেষ পর্যন্ত আদালতে গড়ায়।
এদিকে, হাইকোর্টের বিচারপতি এ আর মাসুদি ও অজয়কুমার শ্রীবাস্তবের বেঞ্চে আট সপ্তাহ সময় চেয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছেন, আগামী ২১ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুলের নাগরিকত্ব প্রসঙ্গে ওই দিনই কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।
প্রতিবেদনে বলা আরও হয়েছে, সুব্রহ্মণ্যম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ জানান রাহুলের বিরুদ্ধে। তার দাবি, ব্রিটেনের প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া কিছু নথিপত্রে রাহুল নিজেকে ব্রিটিশ নাগরিক বলে উল্লেখ করেছেন। পরে এই নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিঘ্নেশ শিশির নামের এক বিজেপি কর্মী।
আইনি খবর পরিবেশনকারী “ওয়েবসাইট লাইভ ল” জানায়, হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, রাহুলের নাগরিকত্বসংক্রান্ত বিষয়টি বর্তমানে বিবেচনাধীন রয়েছে। এই বিষয়ে অবস্থান জানানোর জন্য আদালতের কাছে আরও দুই মাস সময় চান ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল সূর্যভান পাণ্ডে। তবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছেন আদালত।
আনন্দবাজার বলছে, এর আগে নাগরিকত্ব বিতর্কে রাহুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করার আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থে মামলা করা হয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে। ওই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন আদালত। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যমও দিল্লির একটি আদালতের কাছে রাহুলের পাসপোর্ট বাতিলের আবদেনও জানিয়েছিলেন।
তার দাবি ছিল, ব্রিটেনের এক সরকারি কর্মকর্তা তাকে জানিয়েছেন, কংগ্রেস নেতা রাহুল নিজেকে “ব্রিটিশ নাগরিক” হিসেবে বর্ণনা করেছেন একটি নথিতে। ভারতের আইন দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখার অনুমতি দেয় না। সে তথ্য উল্লেখ করে রাহুলের পাসপোর্ট বাতিলের দাবি করেছিলেন সুব্রহ্মণ্যম।