Saturday, April 19, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

কৃষ্ণসাগরে যুদ্ধবিরতিতে রাজি রাশিয়া-ইউক্রেন

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায় মস্কো ও কিয়েভ

আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২:১১ পিএম

সৌদি আরবে তিনদিন ধরে শান্তি আলোচনার পর কৃষ্ণসাগরে দুই দেশের নৌযানে হামলা বন্ধে রাজি হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। সোমবার চলমান এই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায় মস্কো ও কিয়েভ। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে দুইটি রিডআউট প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, প্রকাশিত রিডআউটে নিরাপদে নৌচলাচল নিশ্চিত করতে, বলপ্রয়োগ বন্ধ করতে এবং কৃষ্ণ সাগরে সামরিক উদ্দেশে বাণিজ্যিক জাহাজের ব্যবহার রোধ করতে সমুদ্রে যুদ্ধবিরতির জন্য একটি চুক্তি কার্যকরভাবে ঘোষণা করেছে হোয়াইট হাউস।

ওয়াশিংটন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই চুক্তির ফলে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক পথ পুনরায় চালু হবে এবং সব পক্ষ স্থিতিশীল ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ চালিয়ে যাবে। এছাড়াও একে অপরের জ্বালানি অবকাঠামোয় হামলা না চালানোর বিষয়েও একমত হয়েছে দুই দেশ।

এদিকে রাশিয়া বলেছে, তাদের খাদ্য ও সার ব্যবসার ওপর থেকে বেশ কয়েকটি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরেই নৌ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।

মার্কিন কর্মকর্তারা রিয়াদে মস্কো ও কিয়েভের আলোচকদের সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেছেন, যার লক্ষ্য ছিল দুই পক্ষের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করা। তবে রুশ ও ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদল সরাসরি কোনো বৈঠক করেনি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি কৃষ্ণসাগরে হামলা বন্ধের এই চুক্তিকে সঠিক একটি পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, “এরপর আর কেউ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে স্থায়ী শান্তি আলোচনার পথে বাধা বলে অভিযোগ করতে পারবে না।”

জেলেনস্কি আরও বলেন, “এটা যদি রাশিয়া লঙ্ঘন করে, তাহলে আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে সরাসরি প্রশ্ন করব। তারা লঙ্ঘন করলে আমরা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা চাইব, অস্ত্র চাইব।”

তবে ওয়াশিংটনের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই ক্রেমলিন জানিয়েছে, রাশিয়ার ব্যাংক, উৎপাদক এবং আন্তর্জাতিক খাদ্য ও সার বাণিজ্যে জড়িত রপ্তানিকারকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত কৃষ্ণসাগরের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে না।

   

About

Popular Links

x