মিয়ানমারে পর পর দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে শক্তিশালী এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৭। পরে সেখানে আরেকটি কম্পন অনুভূত হয়। দ্বিতীয় ওই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। এ ভূমিকম্প বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে অনুভূত হয়েছে।
ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে দেশটিতে ইরাবতী নদীর ওপর নির্মিত ঔপনিবেশিক আমলের একটি সেতু ধসে পড়েছে। এছাড়াও দেশটির রাজধানী নেপিদোর পাশাপাশি মান্দালয় শহরের বেশ কিছু ভবন ভেঙে পড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) অনুসারে, মিয়ানমারে ৭.৭ এবং ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এছাড়া থাইল্যান্ড এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য স্থানেও শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ইউএসজিএস আরও জানায়, স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে সাগাইং শহরের ১৬ কিলোমিটার (১০ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে ১০ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্প আঘাত । গৃহযুদ্ধের মধ্যে থাকা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
বার্তাসংস্থা এএফপি মিয়ামারের রাজধানী নেপিদো থেকে জানিয়েছে, ভূমিকম্পের তীব্রতায় রাস্তাঘাট স্তব্ধ হয়ে গেছে এবং ভবন থেকে ছাদের টুকরো ভেঙে পড়ছে। কোথাও কোথাও সড়কেও ফাটল দেখা গেছে।
অন্যদিকে সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী জানিয়েছে, ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ৯১ বছর বয়সী আভা সেতু ধসে পড়েছে। পুরাতন সাগাইং সেতু নামেও পরিচিত এই সেতুটি মান্দালয় এবং সাগাইং অঞ্চলের মধ্যে ইরাবতী নদীর ওপর বিস্তৃত। ঔপনিবেশিক আমলের এই সেতুটি তৎকালীন সময়ে ব্রিটিশদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল।