অনুপ্রবেশ ও ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে ভারতে বসবাসের অভিযোগে পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে গুজরাত পুলিশ। রাজ্য পুলিশের নেতৃত্বে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি), ক্রাইম ব্রাঞ্চ, অ্যান্টি-হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিট (এএইচটিইউ) বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়।
রাজ্যের সুরাট জেলা এবং আহমেদাবাদে রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এর মধ্যে সুরাট থেকে ১০০ জন এবং আহমেদাবাদ থেকে ৪৫০ জনের মতো বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (এসওজি) রাজদীপ সিং নাকুম বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, “গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সুরাট থেকে এদের আটক করা হয়েছে। এরা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং জাল নথি নিয়ে এখানে বাস করছিলেন। তদন্ত শেষে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।”
আহমেদাবাদেও অভিযান চালানো হয়। যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম ব্রাঞ্চ) শরদ সিঙ্ঘল বলেছেন, “আমাদের কাছে তথ্য ছিল যে চান্দোলা এলাকায় বিপুল পরিমাণে অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী আছেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে ভোরে তল্লাশি চালিয়ে এ পর্যন্ত ৪৫০ জনকে আটক করা হয়েছে।”
তিনি বলেছেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ কমিশনার ও রাজ্য পুলিশের ডিজির নির্দেশে এই অভিযান চালানো হয়েছে। এর আগে, ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে এ পর্যন্ত দু’টো ভিন্ন এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যেখানে ১২৭ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং ৭৭ জনকে তাদের দেশে পাঠানো হয়।”
গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হার্শ সাংভি শনিবার সাংবাদিকদের জানান, গত রাতের অভিযানে এক হাজারেরও বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে। ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের মধ্যে কিছু লোক মাদক ব্যবসা ও মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত।
তিনি বলেন, “আমরা দেখেছি এর আগে যে চার বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে দুইজন আল-কায়েদার স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করছিলেন। এই সব বাংলাদেশির (অনুপ্রবেশকারী) সব কার্যক্রম খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”