শ্রীলঙ্কার তিনটি গির্জা এবং অভিজাত তিনটি হোটেলে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় স্থানীয় মুসলিম চরমপন্থি সংগঠন 'ন্যাশনাল তাওহীদ জামাত' (এনটিজে) জড়িত বলে ধারণা করছে দেশটির সরকার। সোমবার সকালে শ্রীলঙ্কা সরকারের মুখপাত্র এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজিথা সেনারাত্নে এই কথা জানান বলে বার্তা সংস্থা এএফপির একটি খবরে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, "এই ঘটনায় চরমপন্থি সংগঠনটি কোনও ধরণের আন্তর্জাতিক সহায়তা পেয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে"।
প্রসঙ্গতঃ গত ১১ এপ্রিল শ্রীলঙ্কা পুলিশের প্রধান ভয়াবহ এই হামলার ব্যাপারে আগেই সতর্ক করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, বিদেশি একটি গোয়েন্দা সংস্থার কাছ তিনি খবর পেয়েছেন যে 'এনটিজে' দেশের বিভিন্ন চার্চ এবং ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে।
এদিকে হামলার এ ঘটনায় গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন দেশটির সরকারের দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী।
টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রী হারিন ফার্নান্দো এক টুইটে লিখেছেন, "কিছু গোয়েন্দা কর্মকর্তা এমন হামলার ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। সতর্ক করার পরও বিষয়টিকে অবহেলা করে ব্যবস্থা নিতে কেন সময় নেয়া হলো? এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে"।
আরেক ক্যাবিনেট মন্ত্রী মানো গনেশ্যাম বলেন, তার মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সতর্ক করেছিলেন যে, দু’জন আত্মঘাতী হামলাকারী রাজনীতিবিদ এবং ভারতীয় দূতাবাসকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারেন। কিন্তু এরপরও যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়নি।
উল্লেখ্য, রবিবার সকালে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা যখন ইস্টার সানডে পালন করছিল তখন এই বিস্ফোরণের সূত্রপাত হয়। দুই দফায় মোট সাতটি স্থানে এই হামলা চালানো হয়। ভয়াবহ এই হামলায় অন্তত ২৯০ জন নিহত এবং পাঁচ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।