Friday, July 11, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩৮

২৪ ঘণ্টায় গাজাজুড়ে ১৩০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর দাবি আইডিএফের

আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫০ পিএম

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলমান রয়েছে। শুক্রবার (৬ জুলাই) গাজার স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে অন্তত ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি বিষয়ে আলোচনা করতে শিগগিরই হোয়াইট হাউসে যাচ্ছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এই পরিস্থিতিতে এসব হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। 

গাজার শিফা হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সেলমিয়া জানান, শহরের দুটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২০ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের মুওয়াসি এলাকায় বিমান হামলায় আরও ১৮ জন নিহত হয়েছেন।  

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এসব নির্দিষ্ট হামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তারা গাজাজুড়ে মোট ১৩০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। 

তাদের দাবি, হামাসের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র, অস্ত্র ভাণ্ডার, রকেট লঞ্চার ও অন্যান্য সামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করে এসব হামলা চালানো হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ৫৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত করেছে, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। 

যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অগ্রগতি

গাজায় ক্রমবর্ধমান হতাহতের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা জোরালো হচ্ছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, রবিবার (৭ জুলাই) কাতারে প্রতিনিধিদল পাঠাবে তারা। সেখানে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে পরোক্ষ আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

তবে এর মধ্যেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, চুক্তিতে হামাসের পরিবর্তনের প্রস্তাবগুলো মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।

কাতারে আলোচনা শুরুর আগেই সোমবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন নেতানিয়াহু। এর আগেই কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। 

এদিকে হামাস জানিয়েছে, প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির পর পুরোপুরি যুদ্ধ বন্ধ ও গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা সরে যাওয়ার নিশ্চয়তা ছাড়া চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে না। 

এর আগের আলোচনাগুলো যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে হামাস ও ইসরায়েলের মতবিরোধে ভেস্তে গেয়েছিল। নেতানিয়াহু যুদ্ধের প্রথম থেকেই বলে আসছে, ‘‘হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস না করে যুদ্ধ থামানো হবে না।’’

   
Banner

About

Popular Links

x