প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুধবার (১৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স হলে আলোচনা, পুরস্কার বিতরণ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবুল লাইস এম.এস. হক, ইউনিভার্সিটি অ্যাডভাইজার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আনিসুর রহমান, রেজিস্ট্রার মো. রুহুল আমিন এবং বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানরা।
উপাচার্য তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন, ৬৮’র আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ৬৯’র গণ আন্দোলন, ৭০-এর নির্বাচন, ৭১-এর অসহযোগ আন্দোলন এবং সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় ইতিহাসের প্রতিটি পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর সক্রিয় উপস্থিতি ছিল উজ্জ্বল এবং সুদূরপ্রসারী।”
এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টের সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, প্রোগ্রাম ডিরেক্টরস, শিক্ষক- শিক্ষিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীরা।
এছাড়াও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ইউনিভার্সিটির প্রধান ফটকে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য "বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ" বিষয়ে কুইজ প্রতিযোগিতা ও কালো ব্যাচধারণ প্রভৃতি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আয়োজিত “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ” বিষয়ে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এর আগে ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবসে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রারের নেতৃত্বে অ্যাডমিশন এন্ড প্রোমোশন ডিপার্টমেন্টের প্রধান এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।