Thursday, May 15, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

গোপালগঞ্জে পাওয়া গেলো বিরল প্রজাতির ৪টি গন্ধগোকুল শাবক

অন্ধকারে অন্য প্রাণীর গায়ের গন্ধশুঁকে চিনতে পারার অসধারণ ক্ষমতা রয়েছে গন্ধগোকুলের।

আপডেট : ১৩ জুন ২০১৯, ০৭:৪৫ পিএম

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোষেরচর মধ্যপাড়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিরল প্রজাতির ৪টি গন্ধগোকুল শাবক। 

বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সেগুলোকে খুলনা বন্যপ্রাণী রক্ষা, উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে । 

এদিন দুপুরে জেলা বন বিভাগের ফরেস্টার ও ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান খুলনা বন্যপ্রাণী রক্ষা, উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের ফরেস্টার মো. মামুন-অর-রশীদের কাছে প্রাণীগুলোকে হস্তান্তর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোপালগঞ্জ বন বিভাগের ফরেস্টার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, বৃহস্পতিবার ওই গ্রামের একটি ছেলে পাতা কাটার জন্য তাল গাছে উঠলে শাবকগুলোর মা তাল গাছ থেকে লাফিয়ে পড়ে পালিয়ে যায়। পরে সে ওই গাছ থেকে ছানাগুলোকে নামিয়ে আনে। 

খবর পেয়ে বন বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে বাচ্চাগুলোকে উদ্ধার করে। পরে খুলনা বন্যপ্রাণী রক্ষা, উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে খবর দেওয়া হলে তারা এসে গন্ধগোকুলের বাচ্চাগুলোকে নিয়ে যায়।




 

গোপালগঞ্জে উদ্ধার হওয়া গন্ধগোকুল। ছবি: ঢাকা ট্রিবিউন


খুলনা বন্যপ্রাণী রক্ষা, উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের ফরেস্টার মো. মামুন-অর-রশীদ ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান, ‘‘প্রাণীগুলোর গায়ের রং ও আকৃতি দেখে গন্ধগোকুল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের ইংরেজি নাম (Asian Palm civet); বৈজ্ঞানিক নাম (Paradoxurus Hermaphroditus)। এরা মূলত নিশাচর প্রাণী। এরা লোকালয়ের কাছাকাছি ঝোপ-জঙ্গলে বসবাস করতে পছন্দ করে। এরা রাতের বেলায় লোকালয় থেকে মুরগী, কবুতরের বাচ্চা, ফল, সবজি, তাল, খেজুর রস, কীটপতঙ্গ সংগ্রহ করে জীবন ধারণ করে। গন্ধগোকুল ইঁদুর ও ফল ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে কৃষকের উপকার করে থাকে।

উদ্ধারকৃত বাচ্চাগুলোর বয়স ২৫-২৮ দিন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এগুলোর শরীর প্রায় ৯ ইঞ্চি লম্বা এবং লেজের দৈর্ঘ্য ১০ ইঞ্চি। গায়ের রং ধূসর। 

অন্ধকারে অন্য প্রাণীর গায়ের গন্ধশুঁকে চিনতে পারার অসধারণ ক্ষমতা রয়েছে গন্ধগোকুলের।

উল্লেখ্য, গন্ধগোকুল সুগন্ধী চালের গন্ধ ছড়ায়। উদ্ধার করা শাবকগুলো সুস্থ আছে। স্তন্যপায়ী এই প্রাণীর শাবকরা জন্মের ২-৩ মাস পর থেকেই খাবার খেতে সক্ষম হয়। 

বন বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত এই শাবকগুলো নিজ থেকে খাবার খাওয়া শিখে গেলে উপযুক্ত পরিবেশে  ছেড়ে দেওয়া হবে। 

এরা সাধারণত কাঠের স্তুপ, বসত ঘরের মাচা, বিল্ডিং এর কার্নিশে বাসা বেঁধে বাচ্চা প্রসব করে। এরা তাল খাটাশ, গাছ খাটাশ, ভোন্দর, নোঙর, সাইরেল নামে পরিচিত। তালের রস বা তাড়ি পান করে বলে এদের তাড়ি বা টডি বিড়ালও বলা হয়। 

   

About

Popular Links

x