পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ায় এ ঘটনা ঘটে
পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ায় ভূত সেজে এক নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী সুরজ শেখের বিরুদ্ধে।
রবিবার (১৪ জুলাই) রাতে ঘরে ঢুকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে ‘ভূত’। নারীর চিৎকারে হাতেনাতে মুখে কালি-ঝুলি মাখা ‘ভূত’কে ধরে ফেলেন বাড়ির লোকজন, এমনটাই জানা গেছে আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যের হাত ছাড়িয়ে বের হয়ে গেলেও অবশ্য পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
কাটোয়ার মণ্ডলপাড়ার ওই নারীর অভিযোগ, “প্রায়ই রাতে বাড়িতে ঢিল ছোঁড়া, চুল ধরে টানার ঘটনা ঘটত। কিন্তু কাউকে দেখতে না পেয়ে যুবতী বধূ ভাবতেন ‘ভূতে’র কাণ্ড”।
পরিবারের অভিযোগ, মাস দেড়েক আগে ওই নারীর শ্বশুর মারা যান। তারপর থেকেই সন্ধ্যায়, রাতে ঘরে ঢিল, ইট পড়ার ঘটনা ঘটত। রাতে ঘরে জানলার ধারে বসে টিভি দেখার সময় চুল টানা, শোওয়ার পরে পা ধরে টানা, মাঝেমধ্যে গায়ে হাত দিয়ে সুড়সুড়ি দেওয়া হত বলেও ওই তার দাবি। তবে কখনই কাউকে দেখতে পাননি তিনি বরং ভয় পেতেন, বাড়ির লোকের কাছে পুরো ঘটনাটা ভূতের কাণ্ড বলে দাবিও করতেন।
তিনি বলেন, “রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ খাওয়াদাওয়া মিটিয়ে শুতে যাওয়ার সময় আচমকা ভেজানো দরজা ঠেলে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত সুরজ। মুখ চেপে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়। স্ত্রীর চিৎকারে ঘুম ভাঙে স্বামীর।”
তার দাবি, “জাপটে ধরে আলো জ্বালতেই দেখি বীভৎস চেহারা। মুখে ময়দা, পাউডার মাখা। সারা শরীরে, মুখে কালি মাখা।”
তবে কালি মুছতেই বেরোয় আসল চেহারা। থানায় দায়ের করা অভিযোগে বধূর দাবি, “পড়শিদের ডাকতেই ওই যুবক আমায় গুলি করে খুন করার হুমকি দিয়ে হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যায়।”
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার অভিযোগ হওয়ার পরেই তল্লাশি চালানো হয় এলাকায়। সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয় সুরজকে। বছর কুড়ির যুবকের পরিবার অভিযোগ মানতে চায়নি।
মতামত দিন