বাগেরহাটের শরণখোলায় বাড়ির চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে দুই পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে গত ৩ জুন থেকে বন্দি অবস্থায় জীবন যাপন করছেন উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের রাজৈর এলাকার ওই পরিবার দু’টির সদস্যরা। অবরুদ্ধ পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আব্দুর রহিমের ইন্ধনে প্রতিবেশী আছাদ জামান হাওলাদার তাদের ঘরের প্রবেশ পথসহ চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে রাখায় তারা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।
অবরুদ্ধ পরিবার দু’টির একটি হলো দুবাইপ্রবাসী খলিলুর রহমানের, অন্যটি সায়েদ হাওলাদারের। অভিযুক্ত আছাদ জামান হাওলাদার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের রাজৈর এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে।
খলিলুর রহমান তালুকদারের স্ত্রী ফাহিমা বেগম বলেন, ‘দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে কবলা দলিলে ক্রয়কৃত জমিতে ঘর তৈরি করে বসবাস করে আসছি। ইউপি সদস্য মো. আব্দুর রহিমের ইন্ধনে হঠাৎ প্রতিবেশী আছাদ জামান হাওলাদার আমার বসতঘরের জায়গা তার নিজের বলে দাবি করা শুরু করেন। কয়েকদিন আগে আছাদ জামান হাওলাদার আমাদের বসতবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেন। আমরা তা না শুনলে গত রবিবার (৩ জুন) তিনি (আছাদ জামান হাওলাদার) আমাদের ঘরের প্রবেশ পথসহ চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দেন। এরপর থেকে আমরা ঘর থেকে বের হতে পারছি না। শিশু সন্তানদের নিয়ে অনেকটা মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে।’ এ নিয়ে শরণখোলা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আছাদ জামান হাওলাদার বলেন, ‘আমি আমার পৈতৃক সম্পত্তিতে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছি। এ জমির মালিকানা আমাদের। জমির সব ধরনের বৈধ কাগজপত্র আমাদের রয়েছে।’
ইউপি সদস্য মো. আব্দুর রহিম হাওলাদার বলেন, ‘কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার সময় ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম। তবে আমি কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করার ব্যাপারে আছাদকে কোনও সহযোগিতা করিনি।’
খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন বলেন, ‘একটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখা অমানবিক ও বেআইনি।’
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবিরুল ইসলাম বলেন, ‘খলিলুর রহমান নামে একজন প্রবাসীর অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’