মৌমাছির আক্রমণে বিপন্ন প্রজাতির ৬৩টি আফ্রিকান পেঙ্গুইনের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরের পার্শ্ববর্তী একটি সমুদ্র সৈকতে এই ঘটনা ঘটে।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ আফ্রিকান “ফাউন্ডেশন ফর দ্য কনজারভেশন অব কোস্টাল বার্ডস” নামে একটি সংস্থার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ফাউন্ডেশন ফর দ্য কনজারভেশন অব কোস্টাল বার্ডস নামে অলাভজনক এই সংস্থাটি সামুদ্রিক পাখিদের পুনর্বাসন নিয়ে কাজ করে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত অবস্থায় এসব পেঙ্গুইনকে কেপটাউনের কাছে অবস্থিত ছোট শহর সাইমন’স টাউনে থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এই শহরটি পেঙ্গুনের বাড়ি ও আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। রবিবার সাউদার্ন আফ্রিকান ফাউন্ডেশন ফর দ্য কনজারভেশন অব কোস্টাল বার্ডসের কর্মকর্তা ও প্রাণী চিকিৎসক ডেভিড রবার্টস জানান, পেঙ্গুইনগুলোর মরদেহ উদ্ধারের পর পরীক্ষায় সবগুলোর চোখেই আমরা মৌমাছির আক্রমণের চিহ্ন দেখতে পাই।
তিনি বলেন, “এটি খুবই বিরল একটি ঘটনা। সবসময় এমনটি ঘটবে সেটিও আমরা আশা করি না। এটি আকস্মিক। যেখান থেকে পেঙ্গুইনগুলোর মরদেহ উদ্ধার করা হয়, সেই একই স্থানে মৃত কিছু মৌমাছিকেও পড়ে থাকতে দেখা যায়। যেখানে পেঙ্গুইনগুলো মারা গেছে সেই এলাকাটি দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় পার্কের অন্তর্ভুক্ত এবং আক্রমণকারী মৌমাছিগুলো সেখানকার বাস্তুসংস্থানের (ইকোসিস্টেম) অংশ।”
তিনি আরও বলেন, “পেঙ্গুইগুলোর এভাবে মারা যাওয়র ঘটনাটি প্রত্যাশিত ছিল না। কারণ পেঙ্গুইনের এই প্রজাতিটি বিলুপ্তির ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং তারা সেখানে সুরক্ষিত প্রজাতির প্রাণী হিসেবে অবস্থান করছিল।”
দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোগ এবং বিষ সংক্রান্ত পরীক্ষার জন্য মৃত পেঙ্গুইনগুলোর নমুনা গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে। মৌমাছির আক্রমণের চিহ্ন ছাড়া মৃত কোনো পেঙ্গুইনের শরীরেই আলাদা কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তেও সবগুলো পেঙ্গুইনের শরীরের একাধিক জায়গায় মৌমাছির হুলের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
আফ্রিকান পেঙ্গুইন দক্ষিণ আফ্রিকার উপকূল এবং দ্বীপগুলোতে বাস করে। তারা আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচারের লাল তালিকা ভুক্ত। যার অর্থ হল তারা বিলুপ্তির উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।