সোমবার (১১ জুন) হামদর্দের চেয়ারম্যান হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া আদালতকে জানান, আগামী ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে তিনি তার প্রতিষ্ঠানের সব পণ্যের বিজ্ঞাপন সরিয়ে নেবেন। একইসঙ্গে তিনি আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় চেয়েছেন।
অনুমোদন বিহীন উপাদান দিয়ে খাদ্য তৈরি ও বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন প্রচারের অভিযোগে গত ৩১ মে স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত-১-এ মামলাটি করেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হাসান।
পরিদর্শক কামরুল জানান, আজ (সোমবার) মামলার ধার্য তারিখে আদালতের কাছে দোষ স্বীকার করবেন বলে সময় চাইলে আদালত মঙ্গলবার (১২ জুন) সকাল ১১টা পর্যন্ত হামদর্দ কর্তৃপক্ষকে সময় দেন।
কামরুল হাসান জানান, গত ১৬ মে ভেজালবিরোধী অভিযানের সময় সন্দেহবশত ‘রুহ আফজা স্বাস্থ্যকর ফলের শরবত’ সংগ্রহ করা হয়। এর দাম ৮৮০ টাকা। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, আসল পণ্যের সঙ্গে এসব বিজ্ঞাপনের কোন প্রকার মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। এটি একধরনের ধোঁকাবাজি। ‘৩৫ ফলের রস দিয়ে তৈরি’, ‘বিশ্বের শ্রেষ্ঠ হালাল পানীয়’সহ নানা ধরনের মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন প্রচার ও ওয়েব সাইটে মিথ্যা তথ্য প্রকাশের দায়ে এ মামলা করা হয়।
মো. কামরুল হাসান জানান, হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ বাংলাদেশ উৎপাদিত পানীয় রুহ আফজায় আপেল, তরমুজ, আঙ্গুর, কমলাসহ বিভিন্নরকম ফল ও গোলাপের নির্যাস দিয়ে তৈরি করা হয় বলে প্রচার ও বাজারজাত করছে। অথচ এর মধ্যে এসবের কিছুই নেই। তাছাড়া রুহ আফজা জ্বর, বমি, বদহজম, মাংসপেশির খিচুনি, ডায়রিয়া, আমাশয়সহ বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে বলে প্রচার করা হয়। এছাড়া পণ্যের উৎপাদন তারিখ মোচনীয় কালি দিয়ে লেখা হয়েছে। উৎপাদনের তারিখও সঠিকভাবে লেখা হয়নি, যা আইনের লঙ্ঘন।
মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাকিম সাইফুদ্দিনকে আসামি করা হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে এই আদালত অবস্থিত।