বাংলাদেশে কোনো দম্পতির সন্তান না হলে একপাক্ষিকভাবে নারীদের ওপর বন্ধ্যাত্বের দায় চাপানো হয়। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে একজন পুরুষও বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভুগতে পারেন। আর এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে খাদ্যাভ্যাস, আরও নির্দিষ্ট করে বললে অস্বাস্থ্যকর খাবার। সেই সঙ্গে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনও রাখছে বাড়তি ভূমিকা।
বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যমতে, সুস্থ জীবনযাপনের জন্য সুষম এবং পুষ্টিকর খাবার অত্যাবশ্যকীয় হলেও অনেকেই খাদ্যাভ্যাস নিয়ে উদাসীন। বিশেষ করে দৈনন্দিন জীবনে ঘরে-বাইরের ব্যস্ততায় পুরুষদের অনেকেই এ বিষয়ে যত্নশীল নন। ফলে শরীর যেমন পুষ্টির অভাবে ভুগছে, তেমনি সৃষ্টি হচ্ছে বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যাও।
যেসব খাবার আর অভ্যাস পুরুষের বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়, সেগুলো হলো-
অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার
মিষ্টি অনেকেরই পছন্দনীয় খাবারের মধ্যে অন্যতম। রুচি এবং সুস্বাদের জন্য প্রতিদিন খানিকটা মিষ্টিমুখ করা যেতেই পারে। কিন্তু অতিরিক্ত মিষ্টি বা এ জাতীয় খাবার খেলে একদিকে যেমন ওজন বাড়ে, সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও। তাই যারা বাবা হতে চাইছেন, তাদের মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আনা আবশ্যক।
ফাস্টফুড বা চর্বি জাতীয় খাবার
ফাস্টফুড এখন মানুষের হাতের নাগালে। ঘর থেকে দুই পা বাড়ালে কিংবা অনলাইনে অর্ডার করলেই চলে আসছে বিভিন্ন মুখরোচক খাবার। হয়ত এসব খাবার খেয়ে মুখে সুস্বাদ পাওয়া যায়। কিন্তু তা শরীরের জন্য বয়ে নিয়ে আসছে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি। কারণ ফাস্টফুডের থাকা অতিমাত্রার সোডিয়াম মানবদেহের লবণ ধরে রাখে। পাশাপাশি ফাস্টফুডে থাকা অতিরিক্ত তেল-চর্বি বাড়াতে পারে শরীরের ওজনও। তাই অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়া পরিহার করাই শ্রেয়।
ধূমপান
সিগারেটের গায়ে সতর্কবার্তা লেখা থাকলেও অনেকেই ধূমপানের অভ্যাসে আসক্ত। বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, পুরুষের বন্ধ্যাত্বের অন্যতম সম্ভাব্য কারণ ধূমপান। তাছাড়া, এতে রয়েছে হৃদরোগ আর শুক্রাণু কমে যাওয়ার ঝুঁকিও। সুতরাং যদি কোনো পুরুষ বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে চান, তাহলে ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা অপরিহার্য।
মদ্যপান
ধূমপানের মতো মদ্যপানও শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। মদ্যপানের অভ্যাসের ফলে শরীরের হৃৎপিণ্ড, যকৃত (লিভার) এবং কিডনির ক্ষতি হয়, তেমনি খারাপ হয় পুরুষের শুক্রাণুর মানও। তাই বাবা হওয়ার ইচ্ছে থাকলে পুরুষদের উচিত মদ্যপান থেকে বিরত থাকা।