ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রসারে বিপরীত লিঙ্গের বন্ধুত্ব এখন আর খুব কঠিন কোনো বিষয় নয়। এমনও হতে পারে, বেশ কিছুদিন যোগাযোগে ভাবের আদান-প্রদানের পর বেশ ভালোই লাগছে আপনার বন্ধুকে।
কিন্তু প্রেম প্রেম ভাব অনুভূত হওয়ার পরেও আপনাকে সাবধানে পা ফেলতে হবে। কারণ আপনার প্রতি বিপরীত দিকের মানুষটির চিন্তাভাবনা যদি একই রকম না থাকে, তাহলে কিন্তু আম-ছালা (পড়ুন প্রেম-বন্ধুত্ব) দুটোই হারাতে হতে পারে।
তবে নিরাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। এমন সমস্যার সমাধানও আছে। কয়েকটি জিনিস খেয়াল করার মাধ্যমে সহজেই বুঝতে পারবেন, বন্ধু আপনার প্রতি কতটা আকৃষ্ট। এমনকি এ সম্পর্ক প্রেমে গড়ানোর সম্ভাবনা আছে কি-না, সেটি বুঝে যাবেন কয়েকটি ইশারাতেই। এক্ষেত্রে যেসব জিনিস খেয়াল করবেন-
প্রতিবার বন্ধু নিজ থেকেই কথোপকথন শুরু করছেন কি-না
যদি আপনার বন্ধু নিয়মিত নিজ থেকেই কথোপকথন শুরু করে থাকেন, তাহলে আপনার কথা তার অবচেতন মনে উঁকি দেয় মাঝেমাঝেই। ফলে আপনি নিজ থেকে কোনো বার্তা লিখে পাঠালে তা উপেক্ষিত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
বন্ধু লম্বা লম্বা বার্তা লিখে পাঠাচ্ছেন কি-না
যদি বার্তালাপের সময়ে বন্ধু লম্বা লম্বা বার্তা লিখে পাঠায়, তাহলে আপনার সঙ্গে তিনি তার মনের অনেক কথা ভাগভাগি করে নিতে চান। তার যত ব্যস্ততাই থাকুক, আপনি তাকে কোনো বার্তা লিখে পাঠালে অবশ্যই সেটির উত্তর আসবে।
দ্রুত সময়ে বার্তার উত্তর আসে
আপনি কিছু লিখে পাঠালে খুব দ্রুতই তার উত্তর আসে কি-না, সেটি খেয়াল করুন। কারণ এ ব্যাপারটার ওপরেই অনেকাংশে নির্ভর করবে আপনাদের সম্পর্ক আদৌ সামনের দিকে গড়াবে নাকি। যদি প্রতিনিয়তই দ্রুত সময়ের মধ্যে উত্তর আসে, তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনি তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
বন্ধু কথা এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়
যদি আপনার বন্ধু একবার কথা শুরু করলে প্রতিনিয়তই দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলে যাচ্ছে, তার মানে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর ব্যাপারে তিনি কিন্তু যথেষ্ট আগ্রহী। মানে অবশ্যই আপনাকে তার বেশ ভালোই লাগছে।
ভাল শ্রোতা কি-না
যদি আপনার বন্ধু আপনার ব্যাপারে ভালো শ্রোতা হয়, তাহলে সেটি আপনার প্রতি বেশ ইতিবাচক একটি ইশারা। কারণ এর মাধ্যমেই বুঝতে পারবেন আপনাকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন বন্ধু। মনে রাখবেন, ভাল বক্তা অনেক পাওয়া গেলেও ভালো শ্রোতা কিন্তু সবাই হয় না।