পানির নিচে কুমিরের মতো শক্তিশালী এবং হিংস্র প্রাণীর মুখ থেকে রক্ষা পাওয়া খুব সহজ কথা নয়। তবে, সেই কাজটি করেই প্রাণে বেঁচে ফিরলেন ৪৪ বছর বয়সী এক অস্ট্রেলিয়ান এক নাগরিক।
শনিবার (৮ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর একটার কিছু আগে অস্ট্রেলিয়ার উত্তর কুইন্সল্যান্ডের কুকটাউনের কাছে আর্চার পয়েন্টে এই ঘটনা ঘটে।
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি।তবে ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেনি অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পিয়ার গান (এক ধরনের বর্শা) দিয়ে পানির নিচে মাছ শিকার করছিলেন ওই ব্যক্তি। এ সময় তার দিকে একটি সাড়ে চার মিটার লম্বা কুমির তেড়ে আসে। সঙ্গে থাকা স্পিয়ার গান দিয়ে কুমিরটিকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি।
একপর্যায়ে কুমিরটি ওই ব্যক্তিকে কামড়ে টেনে নিয়ে যেতে থাকে। তবে এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতেও ঘাবড়ে যাননি তিনি। শেষ পর্যন্ত কুমিরের দুই চোখে আঙুল ঢুকিয়ে দেন তিনি। এরপর কুমিরটি তাকে ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে কুইন্সল্যান্ড অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার প্যারামেডিক ভ্যালেরি নোবেল বলেন, “সাড়ে চার মিটার লম্বা কুমিরটিকে যখন তেড়ে আসতে দেখেন, তখন ওই ব্যক্তি পানিতে ছিলেন। তিনি নিজের সঙ্গে থাকা স্পিয়ার গান দিয়ে কুমিরটিকে ঠেকাতে চেয়েও ব্যর্থ হন।”
ভ্যালেরি নোবেল আরও বলেন, “কুমিরটি তাকে তিনটি কামড় দিয়েছিল এবং টেনে পানির নিচের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। তবে ওই ব্যক্তি কুমিরটির দুই চোখে আঙুল ঢুকিয়ে দিয়ে নিজেকে ছাড়াতে সক্ষম হন। পরে সাঁতরে তীরে উঠে আসেন।”
তিনি জানান, ওই ব্যক্তির মাথা, পা ও কাঁধে ক্ষত রয়েছে। তাকে কেয়ার্নসের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর হলেও স্থিতিশীল রয়েছে।
কুইন্সল্যান্ডের পরিবেশ ও বিজ্ঞান দপ্তরের (ডিইএস) দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেন, “ডিইএস-কে সরবরাহ করা তথ্য অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। আর্চার পয়েন্ট কুমিরের আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। মনে রাখবেন, কুমিরের আবাস্থলে আপনার নিরাপত্তার দায়িত্ব আপনারই।”
তিনি জানান, কুমিরটি এখনো দুর্ঘটনাস্থলে আছে কি-না তা দেখতে দপ্তরের কর্মীরা সেখানে যাবেন।
