বছর ঘুরে চলে এসেছে পবিত্র ঈদ-উল-আজহা, যা কোরবানির ঈদ হিসেবে পরিচিত। কোরবানির ঈদ মানেই টেবিলে গরু আর খাসির মাংসের বাহারি পদের ছড়াছড়ি। চিকিৎসকের বিধিনিষেধ থাকলেও চোখের সামনে মাংসের বাহারি পদ দেখলে লোভ সামলানো দায়।
কোরবানির ঈদে ঝোল বা ভুনা মাংস তো হরহামেশাই রান্না হয়। বৈচিত্র্যের জন্য এবার মেনুতে রাখতে পারেন খাসির মাংসের রেজালাও। পোলাও বা বিরিয়ানির সঙ্গে খাসির রেজালা অনেকেরই পছন্দ। দেখতে কোরমার মতো হলেও খাসির মাংসের রেজালার স্বাদ বেশ ঝাল হয়।
চলুন তাহলে জেনে নিই খাসির মাংসের রেজালার রেসিপি-
প্রয়োজনীয় উপকরণ
আধা কেজি খাসির মাংস, আধা কাপ টমেটো পিউরি, ২ টেবিল চামচ কাজু বাদাম বাটা, আধা কাপ দই (মিষ্টি), কাপের এক চতুর্থাংশ পেঁয়াজ বাটা, এক চা চামচ রসুন বাটা, দুই চা চামচ আদা বাটা, এক চা চামচ লাল মরিচ বাটা, এক চা চামচ ধনে গুঁড়া, আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়া, আধা কাপ ঘি বা তেল, এক চা চামচ গরম মসলা গুঁড়া, এক চা চামচ ভাজা জিরা গুঁড়া, এস কাপ পেঁয়াজ বেরেস্তা, ৬-৭ টি কাঁচা মরিচ, একটি তেজপাতা, কাপের এক চতুর্থাংশ মাওয়া, কয়েক ফোঁটা কেওড়া জল, টেস্টিং সল্ট
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে মাংসের টুকরোগুলো একটু বড় করে কাটতে হবে। রান্না শুরুর আগে লবণ-পানিতে সেই মাংস ঘন্টাখানেক ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে নিতে হবে। পেঁয়াজ বেরেস্তা, কেওড়াজল, কাঁচামরিচ ও মাওয়া বাদে বাকি সব উপকরণ দিয়ে মাংস মেখে নিন। এরপর সেই মসলামাখা মাংস দুই থেকে তিন ঘণ্টার জন্য ঢেকে রাখতে হবে। এরপর মাংসের হাঁড়ি অল্প মাঝারি আঁচে চুলায় বসিয়ে দিন।
পানি ছাড়তে শুরু করলে হাঁড়িতে ঢাকনা দিয়ে দিন। মাঝে মাঝে ঢাকনা খুলে নেড়ে দেবেন। তবে কোনো পানি দেওয়ার দরকার নেই। মাংস থেকে বের হওয়া পানিতেই সেদ্ধ হবে মাংস। মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে বেরেস্তা ও কাঁচামরিচ দিয়ে নেড়ে আরও মিনিট দুয়েকের জন্য ঢেকে দিন। এরপর আঁচ একটু বাড়িয়ে নেড়ে নেড়ে মেশাতে থাকুন। কেওড়া জল ও মাওয়া দিয়ে মিশিয়ে মাংসের হাঁড়ি নামিয়ে ফেলুন।