কর্মব্যস্ত জীবন, সারা দিন এক জায়গায় বসে কাজ, শরীরচর্চার সময় কমে যাওয়া সেই সাথে অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপনের জটিলতা মেদবৃদ্ধির নেপথ্যের অন্যতম প্রধান কারণ। আর মেদবৃদ্ধির সাথে সাথেই কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুখের মতো জটিল শারীরিক সমস্যার পথও সুগম হয়ে যায়।
তাই চিকিৎসকদের প্রথম পরামর্শই- প্রতি নিয়ত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা। কিন্তু সময়ের অভাবে নিয়মিত ডায়েট বা শরীরচর্চার সুযোগ হয়ে ওঠে না অনেকেরই।
ভারতের ফিটনেস বিশেষজ্ঞ ও পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহ বলেন, “অনেকেই ওজন কমানোর নেশায় বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়াই লোকমুখে প্রচলিত কিছু ডায়েট মানতে যান, আর তাতেই বিপদ বাড়ে”। তিনি আরও বলেন, "অনেকেই ওজন কমানোর জন্য কলা খাওয়া ছেড়ে দেন। কিন্তু কলার ফসফরাস পেশী গঠনে অত্যন্ত কার্যকর একটি ফল। তাই এই ভুল ধারণা থেকে বের হন"। বরং দেখা গিয়েছে, শরীরের বিপাকহার বাড়িয়ে চর্বি কমাতে পারে কলার স্মুদি, জানান পুষ্টিবিদ সুমেধা।
তিনি আরও জানান, প্রতি দিন নিয়ম করে খেতে পারলে পেটের চর্বি কমে দ্রুত। কলার সঙ্গে হাতের কাছে থাকা সহজলভ্য কিছু উপকরণ মিশিয়েই বানানো যায় এই স্মুদি।
কিভাবে বানাবেন?
স্মুদি বানাতে যা যা লাগবে,
১।একটি পাকা কলা
২। অর্ধেক চা চামচ আদার গুঁড়ো
৩। আধ-কাপ লো ফ্যাট টক দই
৪। ২ টেবিল চামচ প্রোটিন পাউডার
৫। দুই চামচ ফ্লাক্স সিড
৬।সামান্য নারকেল তেল
এসব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। প্রতি দিন সকালের নাশ্তায় রাখুন এই স্মুদি। সেই সাথে করুন লো ফ্যাট বা প্রোটিনযুক্ত ব্রেকফাস্ট।
সকালে না পারলে বিকেলে ফল খাওয়ার সময়ও এই স্মুদি খেতে পারেন। পেশী গঠনের পাশাপাশি শরীরের কঠিন ফ্যাট গলিয়ে দিতে সক্ষম কলা। সুতরাং অন্য কোনও অসুখের জন্য কলা খাওয়ার নিষেধাজ্ঞা না থাকলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার ডায়েটে রাখতেই পারেন এই স্মুদি।