ডুবে যাওয়া ফেরি উদ্ধার নিয়ে সংশয়

মানিকগঞ্জে পদ্মা নদীর পাটুরিয়ার ৫ নং ঘাটে যানবাহনসহ উল্টে যাওয়া রো- রো ফেরি আমানত শাহ'কে সরাতে পারেনি উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা। 

বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ডুবে যাওয়া ফেরির তলদেশ থেকে একটি ও পদ্মা নদীতে ভেসে থাকা পৃথক ৫টি পন্যবাহী কার্ভার্ড ভ্যান উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।  

উদ্ধারকাজে অংশ নেয়া হামজা ও পাটুরিয়া ফেরিঘাটে পথে থাকা অপর উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় দিয়েও ডুবে যাওয়া ফেরি উদ্ধার সম্ভব হবে না বলে জানান সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা। 

এদিকে কাজ শুরু করেছে ফেরি ডুবির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমটি। নৌ   মন্ত্রণালয়ের গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত টিম বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে এ সময় মিডিয়ার সামনে তদন্ত কমিটির কোনো সদস্য কথা বলতে রাজি হননি।  

ডুবে যাওয়া ফেরিটি উদ্ধারের সক্ষমতা নেই সরকারি কোনো উদ্ধারকারী জাহাজের: 

বিআইডব্লিউটিএ‘র উদ্ধার ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক (জয়েন্ট ডাইরেক্টর) ফজলুর রহমান জানান, সরকাারি পর্যায়ের যে উদ্ধারকারী জাহাজ আছে তাদের সক্ষমতার বাইরে ডুবন্ত ফেরি আমানত শাহ‘র ওজন। সুতরাং উদ্ধারকাজে অংশ নিতে রওয়ানা হওয়া “ উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় দিয়ে ডুবে যাওয়া ফেরিটি উদ্ধার করা আদৌও সম্ভব কিনা এটা বলা কঠিন। তবে সেক্ষেত্রে অন্য কোনোভাবে ফেরিটি উদ্ধার করা যায় কিনা নিমজ্জিত পন্যবাহী ট্রাক উদ্ধারের পর টেকনিক্যাল কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, প্রাইভেট উদ্ধারকারী জাহাজ যে গুলোর উদ্ধার ক্ষমতা ১ হাজার টনেরও বেশি আছে সেগুলো দিয়ে ডুবে যাওয়া ফেরিটি উদ্ধারের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এদিকে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ১৪১ মিটার নদীপথ উজান পারি দিয়ে চাঁদপুর থেকে বুধবার রওয়ানা দিলেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদও পাটুরিয়া ফেরিঘাটে এসে পৌছায়নি। শুক্রবার সেটি পৌঁছানোর সম্ভবনার কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। 

দুর্ঘটনাকবলিত রো- রো ফেরি আমানত শাহর যে ওজন তাতে দুটি জাহাজের চেষ্টার সফলতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের পরিচালক মো. শাজাহান। প্রত্যয় পাটুরিয়ায় আসার পর পরই দুর্ঘটনাকবলিত ফেরিটি উদ্ধার করার কাজ শুরু করা যাবে। হাজমা শুধু ফেরির ভেতরে আটকে থাকা ট্রাকগুলো উদ্ধারে কাজ করছে বলে জানান তিনি।