শনিবার (৬ নভেম্বর) রাত ১০টায় আশুলিয়ার রূপায়ণ মাঠ এলাকার একটি টিনশেড বাড়ির কক্ষ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়
ঢাকা ট্রিবিউন
রায়হানুল ইসলাম আকন্দ, গাজীপুর
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২১, ১২:৫১ পিএমআপডেট : ১০ মার্চ ২০২২, ০৪:৪৬ পিএম
সাভারের আশুলিয়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে বাবা-মা ও কন্যাশিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৬ নভেম্বর) রাত ১০টায় আশুলিয়ার রূপায়ণ মাঠ (জামগড়া বটতলা) এলাকার ফজর আলী মালিকানাধীন টিনশেড বাড়ির একটি কক্ষ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আশুলিয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার চর গরুক মন্ডল গ্রামের মুজাম মিয়ার ছেলে সবুর মিয়া (২৮), তার স্ত্রী রোজিনা আক্তার (২৫) এবং মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (৯)। স্ত্রী রোজিনা আক্তার স্থানীয় মেডলার অ্যাপরেলস পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন এবং মেয়ে সুমাইয়া স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করত।
নিহত সবুর মিয়ার ছোট ভাই শহীদ আলী জানান, গত মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) তার বড় ভাই সবুর মিয়া একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কেনেন। বুধবার দুপুরেও রিকশাটি চালান তিনি। দুপুর দেড়টার দিকে দুই যাত্রী রিকশায় উঠে সাভারের জামগড়া বঙ্গমার্কেটের সামনে তাকে রিকশা থামাতে বলে। পরে গ্যাস কিনবে বলে তার ভাইকেসহ একজন মার্কেটে নিয়ে যায় এবং অপর যাত্রী রিকশায় বসা ছিল। মার্কেটের ভেতর গিয়ে ওই যাত্রী আবার রশি আনার কথা বলে সে পালিয়ে যায়। পরে তার ভাই রিকশার কাছে এসে দেখে রিকশাটিও নাই। তার ভাই বিষয়টি ভাবিকে জানাতে মানা করে।
শহীদ আলী আরও বলেন, “এ বিষয়ে কিছু বলি নাই। এরপর শুক্রবার রাতে ভাইকে ফোন দেই, কিন্তু ফোন কল রিসিভ করে নাই সে। তখন আমার সন্দেহ হয়। পরে শনিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আমার বোনকে সঙ্গে নিয়ে এসে দেখি তাদের ঘরের দরজা বন্ধ। দরজা ধাক্কা দিলেও তাদের কোনো আওয়াজ পাইনি। পরে দরজার নিচ দিয়ে লাইট দিয়ে ভাইয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই।”
শহীদ আলী আরও বলেন, “কয়েকমাস আগে বাড়ি থেকে জমি বন্ধক রেখে ৬০ হাজার টাকা এনে রিকশাটা কিনেছিল ভাই। এসব নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে মনে হয়।”
আশুলিয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জিয়াউল হক জানান, বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) রাতের কোন একসময় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। প্রতিবেশীরাও গত দুইদিন যাবৎ নিহতদের কোনো সাড়া-শব্দ পায়নি। ৯৯৯-এ খবর পেয়ে আশুলিয়ার রূপায়ণ মাঠ (জামগড়া বটতলা) ফজর আলীর ভাড়া বাড়ি (মানসুরা ভিলার) টিনসেট কলোনির ৪ নং কক্ষ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গৃহকর্তা সবুর মিয়ার মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। মা রোজিনা ও মেয়ে সুমাইয়ার দেহ বিছানায় পড়ে ছিল।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী ও মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন সবুর মিয়া। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।”
Powered by Froala Editor
সাভারে ভাড়া বাড়িতে মিলল একই পরিবারের ৩ জনের লাশ
শনিবার (৬ নভেম্বর) রাত ১০টায় আশুলিয়ার রূপায়ণ মাঠ এলাকার একটি টিনশেড বাড়ির কক্ষ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়
সাভারের আশুলিয়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে বাবা-মা ও কন্যাশিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৬ নভেম্বর) রাত ১০টায় আশুলিয়ার রূপায়ণ মাঠ (জামগড়া বটতলা) এলাকার ফজর আলী মালিকানাধীন টিনশেড বাড়ির একটি কক্ষ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আশুলিয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার চর গরুক মন্ডল গ্রামের মুজাম মিয়ার ছেলে সবুর মিয়া (২৮), তার স্ত্রী রোজিনা আক্তার (২৫) এবং মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (৯)। স্ত্রী রোজিনা আক্তার স্থানীয় মেডলার অ্যাপরেলস পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন এবং মেয়ে সুমাইয়া স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করত।
নিহত সবুর মিয়ার ছোট ভাই শহীদ আলী জানান, গত মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) তার বড় ভাই সবুর মিয়া একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কেনেন। বুধবার দুপুরেও রিকশাটি চালান তিনি। দুপুর দেড়টার দিকে দুই যাত্রী রিকশায় উঠে সাভারের জামগড়া বঙ্গমার্কেটের সামনে তাকে রিকশা থামাতে বলে। পরে গ্যাস কিনবে বলে তার ভাইকেসহ একজন মার্কেটে নিয়ে যায় এবং অপর যাত্রী রিকশায় বসা ছিল। মার্কেটের ভেতর গিয়ে ওই যাত্রী আবার রশি আনার কথা বলে সে পালিয়ে যায়। পরে তার ভাই রিকশার কাছে এসে দেখে রিকশাটিও নাই। তার ভাই বিষয়টি ভাবিকে জানাতে মানা করে।
শহীদ আলী আরও বলেন, “এ বিষয়ে কিছু বলি নাই। এরপর শুক্রবার রাতে ভাইকে ফোন দেই, কিন্তু ফোন কল রিসিভ করে নাই সে। তখন আমার সন্দেহ হয়। পরে শনিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আমার বোনকে সঙ্গে নিয়ে এসে দেখি তাদের ঘরের দরজা বন্ধ। দরজা ধাক্কা দিলেও তাদের কোনো আওয়াজ পাইনি। পরে দরজার নিচ দিয়ে লাইট দিয়ে ভাইয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই।”
শহীদ আলী আরও বলেন, “কয়েকমাস আগে বাড়ি থেকে জমি বন্ধক রেখে ৬০ হাজার টাকা এনে রিকশাটা কিনেছিল ভাই। এসব নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে মনে হয়।”
আশুলিয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জিয়াউল হক জানান, বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) রাতের কোন একসময় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। প্রতিবেশীরাও গত দুইদিন যাবৎ নিহতদের কোনো সাড়া-শব্দ পায়নি। ৯৯৯-এ খবর পেয়ে আশুলিয়ার রূপায়ণ মাঠ (জামগড়া বটতলা) ফজর আলীর ভাড়া বাড়ি (মানসুরা ভিলার) টিনসেট কলোনির ৪ নং কক্ষ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গৃহকর্তা সবুর মিয়ার মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। মা রোজিনা ও মেয়ে সুমাইয়ার দেহ বিছানায় পড়ে ছিল।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী ও মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন সবুর মিয়া। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।”
বিষয়: