মো. গোলাম মোস্তফা শেখ একজন সঙ্গীত শিল্পী। তিনি ১৯৯৬ সালের ১ জানুয়ারি বাংলাদেশের গাইবান্ধায় জন্মগ্রহণ করেন। সঙ্গীতের ভুবনে মো. গোলাম মোস্তফা শেখ একজন তরুণ কন্ঠশিল্পী। একবিংশ শতাব্দীতে প্রযুক্তির দ্রুত প্রসার এবং আধুনিকায়নের মধ্যে তরুণ প্রজন্ম সর্বদাই যুগকে বদলে নিয়ে নতুন ধারণা নিয়ে আসতে আগ্রহী। মো. গোলাম মোস্তফা শেখ যেন সেই নতুন যুগের তরুণ প্রজন্মের এক উদাহরণ। তিনি সেই তরুণদের একজন, যিনি নিজের অর্জিত জ্ঞান ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সঙ্গীতে বিশ্ববাসীকে নতুন কিছু উপহার দিচ্ছেন।
স্বপ্ন ও আকাঙ্খার ক্ষেত্রে মিউজিক্যাল আর্টিস্টিন বাংলাদেশ বয়সের কোনো সীমারেখা রাখেনি। খুব অল্প বয়সে তিনি ওয়ার্ল্ড অব লাভ নামে নিজস্ব একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। সঙ্গীতের প্রতি নিজের ভালোবাসাকে বিভিন্ন একক গানের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পডকাস্ট স্পটিফাই, মিউজিকম্যাচ, অ্যামাজন মিউজিক, অ্যাপল মিউজিক জিওসাভন ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মো. গোলাম মোস্তফা শেখ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
প্রযুক্তির প্রতি মো. গোলাম মোস্তফা শেখের আলাদা ভালোবাসা রয়েছে। পাশাপাশি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ফটোগ্রাফি নিয়েও বেশ আগ্রহী তিনি। ছোটবেলা থেকেই তার ভিন্ন কিছু করার ইচ্ছে ছিল। সঙ্গীতে তার শুরুটা হয়েছিল গীতিকার এবং গল্প লেখক হিসেবে। খুব অল্প বয়সেই তিনি সঙ্গীত নিয়ে কাজ শুরু করেন। সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খ্যাতি কুড়ালেও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবেই তিনি বেশি পরিচিত। সেই সঙ্গে তিনি একজন ভালো লেখকও বটে।
শ্রোতা ও সঙ্গীতপ্রেমীদের তিনি একের পর এক গান উপহার দিয়ে গিয়েছেন। তার গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো “ফেক লাভ”, “লাইক ওয়াও”, “লাভ গেম”। সঙ্গীতশিল্পীর পাশাপাশি তার আরেকটি পরিচয় হলো তিনি ডিজিটাল মার্কেটের একজন উদ্যোক্তা। ডিজিটাল মার্কেটের পাশাপাশি তিনি মার্কেট প্লাসেও কাজ করছেন।
অল্প বয়সে মো. গোলাম মোস্তফা শেখের সাফল্য আমাদের বুঝিয়ে দেয়- সফল হতে চাইলে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তার কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। মানুষ যে চেষ্টা করলে সবই সম্ভব করে দেখাতে পারে, তরুণ মো. গোলাম মোস্তফা শেখের কাছ থেকে সেটি আমাদের সবার শেখা উচিত।