অবসরে অথবা চলতি পথে গান কিংবা এফএম রেডিও সময় কাটানোর অনন্য উপায়। আর নিজের মতো গানের দুনিয়ায় হারিয়ে যেতে ইয়ারফোন বা হেডফোন এক অপরিহার্য অনুষঙ্গ। অনেকে তো আবার ইয়ারফোন কানে গুঁজে গান শুনতে শুনতে ঘুমাতে যান।
তবে এই অভ্যাস থেকে শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলেও বিভিন্ন সময় সতর্ক করে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।
সারা দিনের ক্লান্তি, অবসাদ কাটাতে মিউজ়িক থেরাপি বেশ উপকারী। ইনসমনিয়া বা অনিদ্রাজনিত সমস্যাতেও এই টোটকা বেশ কাজের। তাই রাতে খাওয়াদাওয়ার পর কানে ইয়ারফোন গুঁজে, গান শুনতে শুনতেই ঘুমোনোর অভ্যাস অনেকেরই।
তবে এই অভ্যাসের কারণে সারা জীবনের জন্য শ্রবণশক্তি হারাতে হয়েছে চিনের শাংডং প্রদেশের এক তরুণীকে।
বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত ওয়াং তরুণী হঠাৎ এক দিন লক্ষ করেন, অফিসে সহকর্মীরা সবাই মুখ নাড়ছেন, কিন্তু কারও কথাই তিনি স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছেন না। প্রথমে বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দেননি। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ মিটিং চলাকালীন ঊর্ধ্বতনদের কোনো কথা একেবারে শুনতে না পাওয়ায় তিনি স্থানীয় হাসপাতালে ছুটে যান।
চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, নিয়মিত কানে ইয়ারফোন গুঁজে গান শোনার অভ্যাসে ওয়াংয়ের বাঁ কানের শ্রবণশক্তি একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।
চিকিৎসক লি টাও জানান, কানের স্নায়ুর ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়লে এই ধরনের সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। খুব জোরে গান শুনলেই যে শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে এমনটা নয়। একটানা অনেকক্ষণ ধরে গান শুনলেও একই রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কানের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য লি সবাইকে “৬০-৬০” নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। অর্থাৎ গান বা যন্ত্রসঙ্গীত যা-ই শুনুন, তা একটানা ৬০ মিনিটের বেশি শোনা যাবে না এবং শব্দের মাত্রা ৬০ ডেসিবেলের মধ্যে থাকতে হবে।