প্রত্যেক মানুষের শরীরে এক একটি প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা “ইমিউন সিস্টেম” থাকে। যদি কোনো কারণে এই ব্যবস্থায় গোলযোগ দেখা দেয়, তাহলে তার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে অ্যালার্জি জাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সবার আগে প্রয়োজন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখা।
আর এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখতে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রয়োজনীয় পুষ্টি, ভিটামিন, খনিজ পদার্থের সরবরাহ প্রয়োজন। পুষ্টিবিদরা অ্যালার্জির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
যেসব পুষ্টি উপাদান অ্যালার্জির সমস্যা লাঘবে কাজ করে
যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো ভিত্তিক পুষ্টিবিদ বিয়াঙ্কা তাম্বুরেলো রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছেন, ““বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে পুষ্টি উপাদানে ভরপুর খাবার খাওয়া প্রদাহের মাত্রা কমাতে পারে।”
ভিটামিন সি, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডস, উদ্ভিজ্জ উপাদান এবং প্রোবায়োটিক্স’য়ের মতো পুষ্টি উপাদানগু্লো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। যা প্রদাহ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অতি সক্রিয়তা কমাতে পারে।
যেসব খাবারে মিলবে এসব উপাদান
ভিটামিন-সি যুক্ত ফল: কমলালেবু, স্ট্রবেরি, আপেল, তরমুজ হল ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল। প্রদাহবিরোধী ক্ষমতা থাকে এসব ফলে। ত্বকের র্যাশ, চুলকানির মতো অ্যালার্জি জাতীয় সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
মধু: প্রদাহরোধী খাবার হিসেবে পরিচিত মধু অ্যালার্জির সমস্যা নিরসনে কাজ করে। বিশেষ করে কাশি হলে।
আনারস: এই ফলে থাকা “ব্রোমেলিন” অ্যাঞ্জাইম অ্যালার্জির বিরুদ্ধে কাজ করে। এছাড়াও উচ্চ মাত্রায় থাকে “ভিটামিন সি”। আর এটাও অ্যালার্জির বিরূদ্ধে কাজ করে।
আদা: “কুয়ের্সেটিন” সমৃদ্ধ আদা যা অ্যালার্জির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। জাপানের “চুবু ইউভার্সিটি” পরিচালিত গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, প্রদাহ সৃষ্টি করে এরকম অনেক উপাদানের প্রতিক্রিয়া কমাতে পারে আদা। এর মধ্যে অ্যালার্জির সমস্যাও রয়েছে।
পেঁয়াজ: “কুয়ের্সেটিনয়ের” সেরা উৎস। যা অ্যালার্জির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে প্রধান উপাদান হিসেবে কাজ করে।
হলুদ: উদ্ভিজ্জ উপাদান “কারকুমিনয়ের” উৎস এই মসলা। আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় প্রভাব রেখে অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।