এখন থেকে চার্জার কিংবা পাওয়ার ব্যাঙ্ক কিছুরই আর প্রয়োজন নেই। হাঁটার সময় একাই চার্জ হয়ে যাবে ফোন। বর্তমানে দিল্লির ভারতী বিদ্যাপীঠ কলেজ ও চেন্নাইয়ের ভেলোর ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে পড়ুয়া ১৯ বছর বয়সী দুই কিশোর মোহক ও আনন্দ এরকমই একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন।
ভারতের ভাল্লা এবং আনন্দ গঙ্গাধারণ এই চার্জারের ধারণা বের করেন সেই দশম শ্রেণিতে পড়তেই। তবে এখন তা আরো পরিমার্জিত রূপে আসছে বলেও জানান দু্ই উদ্ভাবক। এ প্রসঙ্গে এ দুই কিশোর জানান, “সাধারণ মোবাইল চার্জারে যে গতিতে চার্জ হয়, তার থেকে ২০ শতাংশ কম সময়ে চার্জ হয়ে যাবে এই ওয়াকিং চার্জার।”
যন্ত্রটি সম্পর্কে মোহন এবং আনন্দ জানান, “ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইনডাকশন পদ্ধতিতে কাজ করে এই যন্ত্র। চার্জারের একটি অংশ ডায়নামো এবং অন্য অংশ বাফার। যন্ত্রটা রাখা হয় ঠিক গোড়ালির নীচে। হাঁটা শুরু হলে গোড়ালিতে চাপ পড়ে। গোড়ালির এই চাপ থেকে শক্তি উৎপন্ন হয়। সেই শক্তি ডায়নামো ঘোরাতে সাহায্য করে।”
ডায়নামো ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে বৈদ্যুতিক শক্তি তৈরি হয়। এই বিদ্যুৎ দিয়েই চার্জ হবে মোবাইল ফোন। প্রাথমিক ভাবে ২০০০ টাকা খরচ হলেও অনেকগুলো চার্জার বানানো শুরু হলে তৈরির খরচ অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করছেন তারা।
বর্তমানে যে চার্জার তাঁরা বানিয়েছেন, তার আকারটাও বেশ বড়। পায়ে পরতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেটাও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। আর এক থেকে দু’বছরের মধ্যে তা বাজারে চলে আসবে, বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
প্রথম মডেলটির অনেক সমস্যা থাকলেও ক্রমেই সে সমস্যাগুলো খুঁজে বের করে সেগুলো ঠিক করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন দুই কিশোর উদ্ভাবক।