দীর্ঘদিন ধরে দুজনের মধ্যে চরম রাজনীতিক প্রতিদ্বন্দ্বীতা বিরাজমান। একজন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর অন্যজন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আ ন ম এহসানুল হক মিলন। তারা চাঁদপুর-১ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন।
তাদের সমর্থকদের মধ্যে হামলা-মামলার অভিযোগ ছিল প্রতিনিয়তই। তবে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। মিলনের শ্বশুরের জানাজায় হাজির হয়ে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মহীউদ্দীন খান আলমগীর।
রাজনীতির মাঠের চরম দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর এই সৌহার্দ্যের বিষয়টি রীতিমতো আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয় কচুয়া তথা চাঁদপুরবাসীর মাঝে।
জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে কচুয়ার বর্তমান সংসদ সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আ ন ম এহসানুল হক মিলনের শ্বশুরের জানাজা উপস্থিত হয়ে একসঙ্গে জানাজার নামাজ আদায় করলেন। নামাজের পর একসঙ্গে সাংবাদিকদের ক্যামেরাবন্দি হন।
কচুয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন জানান, এহছানুল হক মিলনের শ্বশুর সোমবার রাতে রাজধানীর একটি হাসপতালে মারা যান। শ্বশুরের মরদেহ নিয়ে ফেরার পথে তেল নেওয়ার জন্য একটি ফিলিং স্টেশনে গাড়ি থামান মিলন। আগেই সেখানে তেল নেওয়ার অপেক্ষায় ছিল ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীরের গাড়ি। এসময় তাদের দেখা হয়ে যায়। মিলনের স্বজনের মৃত্যু সংবাদ শুনে জানাজায় যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে ড. আলমগীরকে না করেননি বিএনপি নেতা।
স্থানীয়রা বলছেন, তারা দুজন একসঙ্গে হয়ে কথা বলেছেন এমনটা কচুয়ার মানুষ তিন দশকেও দেখেনি।