বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শনিবার (৪ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় কমিটিতে পূর্ণ দায়িত্ব পেয়ে সভাপতি হয়েছেন আল নাহিয়ান খান জয়। একইসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন লেখক ভট্টাচার্য। তারা দুজনই ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
শনিবার দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুনর্মিলনীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দুজনের নাম ঘোষণা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, "আমাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একটি প্রস্তাব রেখেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ থেকে ছাত্রলীগকে ভারমুক্ত করে দিলাম। আজ থেকে আর ভার থাকবে না। আজকের দিন থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক আর ভারপ্রাপ্ত নয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী থেকে তারা ভারমুক্ত হলো।"
এর আগে বিতর্কিত বিভিন্ন কাজে জড়িয়ে সমালোচনার সৃষ্টি করেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদকের গোলাম রাব্বানী। এর জের ধরে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে পদ হারান তারা। পরে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে লেখক ভট্টাচার্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও প্রাচীন ছাত্র সংগঠন এই সংগঠনটির জন্ম হয়।
বাহান্ন’র এর ভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নর নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, আটান্নর আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, বাষট্টি’র শিক্ষা আন্দোলন ও ছেষট্টির ছয় দফা থেকে উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্ত করা, সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়লাভ এবং একাত্তর মহান মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ ভূমিকা রাখে এ ছাত্রসংগঠনটি।