শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে গৌড়নদী উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে
বরিশালের গৌড়নদী উপজেলায় ছাত্রলীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষে সাতজন পুলিশসহ কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে গৌড়নদী উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় দুইটি বাড়ি ও ২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় চার ছাত্রলীগকর্মীকে আটক করে। এ ঘটনায় আহতদের গৌড়নদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা রাশেদুজ্জামান ঝিলাম বলেন, “গৌড়নদী টিএন্ডটি কার্যালয়ের কাছে অবস্থিত আমার একটি জমিতে বালু ভরাটের কাজ শুরু করেছি। শনিবার দুপুরে, সরকারি গৌরনদী কলেজের সাবেক ভিপি ও ছাত্রলীগে নেতা এ কারণে সুমন মাহমুদের নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে চাঁদার দাবিতে আমার বাড়ি ভাঙচুর করে। আমার ভাড়া বাসায় ঢুকে আমাকেও মারে তারা।”
সুমন মাহমুদ তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “শনিবার দুপুরে গৌড়নদী উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট জুবায়ের ইসলাম ওরফে সান্টু ভূঁইয়া ও রাশেদুজ্জামান আমাকে ডাকে, এসময় রাশেদের বাড়িতে ওঁৎ পেতে ছিল তারা।”
“এসময় সান্টু আমার নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়, পরে আমার বাড়িতেও হামলা চালায়, এসময় আমার মা এবং শ্বশুরকেও মারে তারা।” পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন বলেও জানান তিনি।
সান্টু ভুঁইয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, “এ ঘটনার সঙ্গে আমার অনুসারী কর্মীরা জড়িত নন। আমি শুনেছি,
সুমন মাহমুদ ও তার অনুসারী নেতা-কর্মীরা মিলে রাশেদুজ্জামানের কাছে চাঁদা দাবি করে হামলা চালিয়েছে।”
এ প্রসঙ্গে গৌড়নদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার বলেন, “এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনও মামলা হয়নি।” তবে বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশ টহল দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মতামত দিন