বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘যাদের নিজেদের ঘরে গণতন্ত্র নেই, তারা দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে, এটা আশা করা যায় না’
গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চা প্রয়োজন, যেটি আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যকোন দলে নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর দোয়েল চত্বরে অবস্থিত জাতীয় তিন নেতার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সারা জীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চেয়েছেন। আজকে গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হলেও একটি অশুভ শক্তির অপচেষ্টার কারনে এখনও প্রাতিষ্ঠানিক রুপলাভ করেনি। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীর এই দিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা হবে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চা প্রয়োজন, যেটি আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউ করে না।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হলেও একটি অশুভ শক্তির অপচেষ্টা কারনে গণতন্ত্র এখনও প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পায় নি। একটি মহল মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তাদের আচরণে কখনো মনে হয়নি তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তারা আসলে গণতন্ত্রের শত্রু।”
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “যাদের নিজেদের ঘরে গণতন্ত্র নেই, তারা দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে, এটা আশা করা যায় না।”
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে সমালোচনার জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সব কিছু হ্যান্ডেল করছেন। আমরা সরকারে আছি, আমাদের হুট করে মাথা গরম করলে চলবে না। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন, সেভাবে সাহসিকতার সঙ্গে সব কিছু তিনি মোকাবিলা করবেন।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভাস্কর্য রয়েছে, মুসলিম দেশগুলোতেও ভাস্কর্য রয়েছে। সেখানে ভাস্কর্য নির্মাণ ইসলামবিরোধী না হলে আমাদের দেশ কেন?”
এরআগে ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তিন নেতার মাজারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ্য থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
এসময়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও রিয়াজুল কবির কাওছার, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, আওয়ামী যুবলীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
মতামত দিন