বুধবার বিকেলে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডয়াম সদস্য ও গোপালগঞ্জ সদর আসনের এমপি শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান এ ঘটনার ৭দিন পর সেনা প্রধান হয়েছিলেন। তিনি এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। নিজেকে রক্ষায় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন। বাংলাদেশে মৃত ব্যক্তির বিচারের কোন আইন নেই। তাই তার বিচারকরা সম্ভব হয়নি।”
দ্রুত কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত কূশীলবদের চিহ্নিত করতে শেখ সেলিম বলেন, “কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত কূশীলবদের চিহ্নিত করতে হবে। যাতে নতুন প্রজন্ম তাদের সম্পর্কে জানতে পেরে ঘৃণা করতে পারে। সেনা বাহিনীর ৮ জন ক্যাপ্টেন, মেজর ও ৭ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসারের নেতৃত্বে ৩ শ’ সেনা সদস্য ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডে অংশ নেয়। তারা ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে অবার ক্যান্টনমেন্ট ফিরে যায়। তখন ক্যান্টনমেন্ট রোড এ্যালার্ট জারি করা হয়নি। এ হত্যাকান্ডে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর চীফ সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জড়িত ছিল। সে দিন বঙ্গবন্ধু সেনা প্রধান, পুলিশ হেড কোয়ার্টার সহ বিভন্নস্থানে ফোন করেও কোন সহযোগিতা পাননি। হত্যার পর সেনা,নৌ, বিমান বাহিনীর চীফ সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুকে দেখতে আসেনি।”
এ হত্যাকাণ্ডে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানী এজেন্ট, কিছু ব্যবসায়ী জড়িত থাকার অভিযোগ এনে তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র ও মানবতার কথা বলে। সেদিন বঙ্গবন্ধুর সাথে নারী শিশুদের হত্যা করে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে অবৈধভাবে খুনিরা ক্ষমতা দখল করে। তখন তাদের মানবতা ও গণতন্ত্র কোথায় ছিল?”
তিনি দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। ৭০ এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু অংশ নিয়েছিলেন। ভাসানী ন্যাপ এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা নিশ্চিহ্ন হয়েছে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে নির্বাচিত করতে হবে। তাহলে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি রাজনীতি করতে পাবেনা। তার ভাসানী ন্যাপের মতো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়িত হবে। বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তিপাবে।”
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধূরী এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।