বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মানিকপুরে নিজ তার বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নোয়াখালী জেলা বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হয়।
আজ বিকেলে জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে আমাদের প্রিয় নেতা মওদুদ আহমদ তাঁর নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, পুলিশ বলেছে, তাকে বের হতে দেবে না।’
এ সময় সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ইঙ্গিত করে জেলা বিএনপির সভাপতি বলেন, তিনি দেশের একটি প্রাচীন দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। এটি আমাদের ও নোয়াখালীবাসীর জন্য গর্বের বিষয়। কিন্তু তার নির্বাচনী এলাকা যেখানে আমরা দীর্ঘদিন রাজনৈতিক সহাবস্থানের সংস্কৃতি সৃস্টি করেছি, সেখানে মওদুদ আহমদের মতো একজন সিনিয়র সিটিজেনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হলো। এটা কোন গণতন্ত্রের নমুনা?
বাড়িতে মওদুদ আহমদের সাথে দলীয় নেতা কর্মীদেরকে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। এ সময় জানানো হয়, শুক্রবার মওদুদ আহমদের বাড়ি থেকে বিএনপির পাঁচ কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, আবদুল ওহাব রাজা(৪৫), একরামুল হক খোকন(৫৫), খায়রুল আলম সেলিম(৪০), আবুল কাশেম(৫৫) ও ওমর ফারুক(৩০)।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে অবরুদ্ধ করে রাখা ও নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতারের ঘটনায় নিন্দা জানানো হয়।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো: ইলিয়াছ শরীফ মওদুদ আহমদের অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীকে নিয়ে মওদুদ আহমদের বক্তব্যের কারনে, এলাকায় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এসব কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে মওদুদ আহমদের বাড়ির সামনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে।