তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রবেশকারী জিয়া খুনি মোশতাকের সাথে হাত মিলিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার কলকাঠি নাড়েন।” রবিবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতির পিতার ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে “বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদ” আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “হাজার বছরের ঘুমন্ত বাঙালি জাতি যে মহান নেতার ডাকে জীবনকে তুচ্ছ করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, সেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী ছিল জিয়াউর রহমান ও তার পরিবার।”
“১৯৭৫ এর পটপরিবর্তনের পর জিয়া সব রাজাকারকে খুঁজে খুঁজে বের করে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেন। সে সময় যুদ্ধাপরাধী হিসেবে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ ১১ হাজার কারাবন্দী যুদ্ধাপরাধীকে জিয়া মুক্তি দেন, নিয়ে আসেন গোলাম আজমকে,” যোগ করেন তিনি।
সন্ত্রাসকেও জিয়া প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেভেন মার্ডারের সব আসামিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলে ছেড় দেন তিনি। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু হত্যার মাধ্যমে রাজনীতিতে উত্থানের পর হত্যার রাজনীতি অব্যাহত রেখে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেন জিয়া।”
তিনি আরও বলেন, “২০০২ সালে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি অপারেশন ক্লিনহার্ট পরিচালনা করে প্রায় ১০০ মানুষ হত্যা করে তার বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি দেয়। ঠিক যেমন বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিচার বন্ধে দেয়া ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে জিয়া ১৯৭৯ সালে আইনে পরিণত করে। আর তারা যে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে প্রায় পাঁচশ মানুষ এমনকি পরিবহনের গরু-মুরগিও হত্যা করেছে, তা পৃথিবীতে নজীরবিহীন।”
“এভাবে যাদের রাজনীতির পুরোটাই হত্যা-গুম-সন্ত্রাসনির্ভর তাদের মুখে সন্ত্রাসবিরোধী বুলি হাস্যকর বরং তাদের বলব, সহসা জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে, জনগণ ক্ষমা করলেও করতে পারে,’ যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার হামিদুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এইচ এম সোলায়মান চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ইন্সপেক্টর জেনারেল এ কে এম শহিদুল হক, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, গণমাধ্যমকর্মী মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।
