বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির প্রায় সব সিনিয়র নেতাসহ ৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। এরমধ্যে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (০১ অক্টোবর) তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। মামলার এজাহার ও হাতিরঝিল থানা পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এজাহার থেকে জানা যায়, মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে। দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে, তিন নম্বর ড. মঈন খান, চার নম্বর নজরুল ইসলাম খান, পাঁচ নম্বর আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ছয় নম্বর ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ; সাত নম্বর আমান উল্লাহ আমান, আট নম্বর রুহুল কুদ্দুস তালুকদার, নয় নম্বর রুহুল কবির রিজভী ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দশ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৪৫ জন নেতাকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা হল- রাজধানীর মগবাজার রেলগেট এলাকায় রবিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছেন, পুলিশকে আক্রমণ করেছেন, যানবাহন ভাঙচুর ও ক্ষতিসাধন করেছেন। জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে বাঁশের লাঠি, পেট্রোল বোমা, বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ, কাচের টুকরা ও ইটের টুকরা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন- বাড্ডার ৪১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি সামছুল হক (৪০), একই ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন (৪০), গুলশান ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রাশেদ বিন সোলায়মান (৪৪), গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার শফিউদ্দিন (৪৩), ময়মনসিংহের ভালুকা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন (৫৩), কুমিল্লা জেলা বিএনপির সহসভাপতি মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া (৪৮) ও কুমিল্লার লাঙ্গলকোট থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব খন্দকার (৩৫)।
হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মো. ফজলুল করিম বিএনপির রবিবারের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সাতজনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হাতিরঝিল থানার এসআই শরিফ বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।