গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, “যে কোনো নাগরিকের তার ঘরের ভিতর স্বাধীনভাবে বসবাস করার এখতিয়ার আছে। একজন কাফের বা মোনাফেক ছাড়া কারো ঘরের ভিতর কেউ অস্ত্র বা বোমা বা ক্যামেরা পাঠাতে পারে না। আমাকে মারার জন্য খুনিরা বিভিন্নভাবে পরিকল্পনা করছে।”
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) মহানগরের গাছা এলাকার নিজ বাসভবনে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের (জিসিসি) ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৬২ জন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “যারা আমাকে ২০১২ ও ২০১৩ সালে হত্যা করার জন্য পাঁয়তারা করেছিল তারা এখনো সজাগ আছে। তারা এখনো আমাকে ও আমার পরিবারকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা করছে। আমাকে মারার জন্য আমার ঘরের ভেতর ক্যামেরা পাঠানো হয়েছে। আমার মেয়রপদ ও আওয়ামী লীগকে কলঙ্কিত করার জন্য, আমার চল্লিশ লাখ নগরবাসীকে অপমান করার জন্য কিভাবে তারা বেডরুমে ক্যামেরা পাঠায় তার বিচার আমি রাষ্ট্রের কাছে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “রাস্তাঘাট ও নগরের উন্নয়নে কাজ করতে গিয়ে আজ আমি তাদের শত্রু ও কাল হয়ে দাঁড়িয়েছি। আজকে আমার শত্রু কারা নগরবাসী জেনে গেছে। রাজনীতির নামে অপরাজনীতি দিয়ে আজ আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে সেই টাকা দিয়ে আপনারা রাস্তায় আগুন দিচ্ছেন। রাস্তায় গিয়ে গাড়ি ভাংচুর, মানুষের সম্পদ নষ্ট করা কোনো মানুষের কাজ হতে পারে না। আমি অন্যায় করি না অন্যায়ের সঙ্গে কখনো আপোষও করব না। অপরাধ করলে আমার অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে শাস্তি দেবেন আমি তা মাথা পেতে নেব। কিন্তু কোনো সন্ত্রাসী লুটপাটকারীদের এই সিটি কর্পোরেশনে ঢুকতে দেওয়া হবে না।”
মেয়র আরও বলেন, “অনেকে দুর্নীতি ও লুটপাট করতে চেয়েছিল, রাস্তা থেকে চুরি করে ইট উঠিয়ে নিয়ে বিক্রি করেছে, আমার কাছে সব প্রমাণ আছে, এলাকার শান্তির স্বার্থে অনেক কিছুই বলি না, এই লুটপাটকারীরা কোনভাবে সিটি কর্পোরেশনে ঢুকতে পারবে না। আমি তাদের বাঁধা দিয়েছি। সেই বাঁধাগ্রস্তরা কয়েকজন আজকে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তাতে আমার কিছুই হবেনা।”
তিনি বলেন, “আমরা আমাদের গাজীপুর মহানগরকে আধুনিক ও পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এ নগরীর গরীবদের জীবনমান উন্নয়ন করতে সাবসিডিয়ারি দিতে চাই। এ জন্য প্রথম পর্যায়ে এক লাখ গরীব মানুষ যাদের দেড় হাজার বর্গফুট আকারের নীচে যাদের টিনের বা টিনসেড বা মাটির তৈরি ঘর রয়েছে তাদের ৫ বছরের কর মওকুফের জন্য গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও এ নগরীর উন্নয়ন কাজ করতে গিয়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, আমরা তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে চাই। ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। আশা করছি শীঘ্রই এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।”