নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপন জারি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। অবিলম্বে এই প্রজ্ঞাপন বাতিলের আহ্বানও জানিয়েছে দলটি। মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এই প্রতিক্রিয়া জানান।
দলের প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো এক প্রতিক্রিয়ায় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে আপিল দায়ের করা হয়। জামায়াতের নিবন্ধন মামলাটি আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে। এমতাবস্থায় মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির আগে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারির কোনও সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপন জারি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। নির্বাচন কমিশনের এ প্রজ্ঞাপন জারি উচ্চ আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শনের শামিল। আমরা নির্বাচন কমিশনের এ ভূমিকায় বিস্মিত।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, নির্বাচন কমিশনের শর্ত পূরণ করে জামায়াত ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর নিবন্ধন পায়। ২০০৯ সালে তরিকত ফেডারেশনের দায়ের করা এক রিট মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির জন্য হাইকোর্টের ৩ জন বিচারপতির সমন্বয়ে বৃহত্তর বেঞ্চ গঠিত হয়। ওই বেঞ্চে শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ১ আগস্ট বিভক্ত রায় দেন। প্রিজাইডিং জজ জামায়াতের নিবন্ধন বহাল রাখার পক্ষে ও অন্য দু’জন বিচারপতি নিবন্ধনটি আইনসম্মত হয়নি মর্মে রায় দেন। একই সঙ্গে মামলাটির সঙ্গে সাংবিধানিক প্রশ্ন জড়িত থাকায় বিচারপতিরা আপিলের জন্য সার্টিফিকেট দেন।
তিনি বলেন, আমরা এই প্রজ্ঞাপন জারির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাই।