নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদসহ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ময়মনসিংহ নগরীতে বিভাগীয় গণসমাবেশ করেছে বিএনপি। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও সমাবেশে যোগ দেন দলটির কয়েক হাজার নেতাকর্মী।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সমাবেশে যোগ দিতে শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে ময়মনসিংহ নগরীতে আসতে শুরু করেন শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর এবং টাঙ্গাইল বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা। তাদের অনেকেই সেখানে রাত কাটান। সকালেও অনেক নেতাকর্মীকে দলে দলে মিছিল নিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
এদিকে, যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমাবেশস্থলের আশপাশে এবং শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়েছে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে, ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও যশোরে বিএনপির সমাবেশে পুলিশের গুলিতে দলের পাঁচ নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিল যে, আগামী সাধারণ নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে। তবে সংবিধান অনুযায়ী তা করা সম্ভব নয় বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার তা তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স অভিযোগ করেন, ময়মনসিংহ ও এর আশপাশের জেলায় সকাল থেকে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের সমাবেশে যোগ দিতে না দিতে “অঘোষিত” পরিবহন ধর্মঘট চলছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা হেঁটে, মোটরসাইকেল বা প্রাইভেট গাড়িতে করে সমাবেশে আসছেন।
ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভূঁইয়া জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তারা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছেন।