যশোর ৫ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাসকে প্রার্থী করায় স্থানীয় বিএনপির বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের ১৭টি ইউনিয়ন এবং পৌর শাখার সভাপতি-সম্পাদকসহ দুই সহস্রাধিক নেতাকর্মী গণপদত্যাগ করছেন।
রবিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে নেতাকর্মীরা তাদের পদত্যাগপত্র নিয়ে দলের উপজেলা কার্যালয়ে আসেন। এরপর তারা উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরে সেগুলো দলটির জেলা কমিটির সভাপতি বরাবর পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করে বলেন, "সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের প্রায় আড়াই হাজার নেতা-কর্মী পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেছেন বলে দলের উপজেলা অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।"
পদত্যাগ করা কাশিমনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জি এম আহাদ আলীর কাছে পদত্যাগের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, "গত একমাসে আমার ইউনিয়নের প্রায় আড়াইশ' নেতা-কর্মীর নামে মামলা হয়েছে। মণিরামপুরে গত পাঁচ বছরে ১১-১২ জন নেতা-কর্মী ক্রসফায়ারে মারা গেছেন। এদের কারো পরিবারের খোঁজ নেওয়া তো দূরের কথা, তাদের জানাজায় মুফতি ওয়াক্কাস কেন, তার ছেলেরাও কোনদিন আসেননি। তাছাড়া মামলার ব্যাপারে কোনদিন ওয়াক্কাস বিএনপির নেতা-কর্মীদের খোঁজও নেননি। তারপরও যদি ওয়াক্কাসকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, সেই দুঃখ রাখার আর জায়গা হয় না।"
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে যশোর-৫ আসনে বিএনপি তার মণিরামপুর উপজেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল ও ২০ দলীয় জোট শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম নেতা মুফতি ওয়াক্কাসকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেয়। পরে মুফতি ওয়াক্কাসকে চূড়ান্ত করা হয়।